সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা : আরো নাশকতার শঙ্কা

আজ ঢাকায় ৯টি স্থানে বাসে আগুন লাগিয়েছে দূবৃত্তরা। বংশাল, মতিঝিল, গোলাপশাহ মাজার, প্রেসক্লাব, কাটাবন ও খিলগাও এবং প্রগতি স্মরণীর মতো জনবহুল রাস্তায় কিভাবে বাসে আগুন দেয়া হলো, তা নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন। এটা কি গোয়েন্দা ব্যর্থতা কিনা সে প্রশ্ন উঠেছে। আর এই ঘটনার প্রেক্ষিতে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা সারাদেশে সর্বোচ্চ সতর্কাবস্থা জারী করেছে।

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একাধিক সূত্র বলছে, এই ঘটনা যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সেটি পরিস্কার। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মনে করছে, একটি মহল বিশেষ উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এই পরিকল্পিত নাশকতার আশ্রয় নিয়েছে। গোয়েন্দা সূত্র গুলো আরো বলছে, তাদের ধারনা এটি টেস্ট কেস। সামনে এরকম আরো নাশকতার শঙ্কা রয়েছে।

একটি গোয়েন্দা সূত্র বলছে, এটা টেস্ট কেসও হতে পারে। বড় ধরনের নাশকতার আগে এটি একটি মহড়াও হতে পারে। এই ঘটনার সঙ্গে জামাত-শিবির এবং যুবদল জড়িত বলে প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া গেছে।

গত কিছুদিন ধরেই জামাত-শিবির পূণ: সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে। প্রত্যেক জেলায় জামাত-শিবির পূণ:সংগঠিত হবার চেষ্টা করছে। প্রত্যেক জেলায় জামাত-শিবির কর্মী সমাবেশ করছে। সারাদেশে বিধ্বস্ত লুপ্ত প্রায় জঙ্গী সংগঠন গুলোকে পূণ:রুজ্জীবিত করার কাজও করছে জামাত শিবির। সাম্প্রতিক সময়ে জামাত-শিবির দুটো কৌশলে এগুচ্ছে।

প্রথমত: সংগঠনকে পূণ:গঠন। দ্বিতীয়: জঙ্গীদের অর্থায়নের মাধ্যমে সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জামাতের তৎপরতা সম্পর্কে অবহিত থাকলেও তারা এরকম জঙ্গী এবং সশস্ত্র তৎপরতা চালাতে পারে, সেই ধারনা করতে পারেনি। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে বার বার বলা হচ্ছিল জঙ্গীরা তাদের ‘সক্ষমতা’ হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এখন দেখা গেল জঙ্গীরা আবার সক্রিয়।

এই ঘটনার পর আইন শৃংখলা বাহিনী নতুন করে তৎপর হয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন ‘এখন আমাদের লক্ষ্য দুটি প্রথমত: এই ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করা এবং তাদের পরিকল্পনার পুরোটা উদঘাটন করা। দ্বিতীয়ত: এরকম ঘটনা যেন আর ঘটতে না পারে, সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা। 

জানা গেছে, ডিসেম্বর পর্যন্ত জঙ্গীরা এরকম অঘটন আরো ঘটাতে পারে। গোয়েন্দা সূত্র গুলো বলছে, বিজয়ের মাসকে টার্গেট করে দেশে পরিকল্পিত নাশকতার পরিকল্পনার কিছু তথ্য তাদের কাছে আছে। এই ঘটনা তারই সূত্রপাত বলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মনে করছে।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin