বিএনপির পুরো মনসংযোগ এখন ছিল লন্ডনে। প্রধানমন্ত্রী গত বুধবার লন্ডনে পৌঁছেছেন। আজ তিনি বাংলাদেশের রোড শো উদ্বোধন করবেন, কর্মব্যস্ত সময় কাটাবেন।
প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডনে পৌঁছেন ঠিক তার আগেই বিবিসির দৃষ্টিতে জলবায়ু সম্মেলনে সেরা নেত্রীবৃন্দের তালিকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থান পেয়েছেন এবং তাকে অধিকারহীন মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে একজন বিশ্বনেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গেছেন।
আজকে থেকে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করবেন। বিএনপির পক্ষ থেকে অনেকে বলেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে গেলে বিএনপি ব্যাপক প্রতিবাদ করবে এবং এই প্রতিবাদ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক ভাবে আলোচিত হবে। কিন্তু লন্ডনে প্রধানমন্ত্রী গেলেন আলোকিত হয়ে, বিবিসির দৃষ্টিতে একজন বিশ্বের অনুপ্রেরণাদায়ী নেতা হিসেবে।
বরং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনে প্রবেশের আগেই সুস্পষ্টভাবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে তারেকের মতো দণ্ডিতদের দেশে ফিরত চাইলেন। আর অন্যদিকে লন্ডনে তারেক জিয়ার দলরা ছিল নিষ্প্রভ।
কারণ, সেখানে আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে সাধারণ মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানানোর জন্য প্রস্তুত ছিল এবং প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করছে সে নিয়ে প্রবাসী বাঙ্গালীরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। তারা মনে করেন যে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে সম্মানের জায়গায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
আর এই সম্মান যেন নষ্ট না হয় সেজন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো লন্ডন প্রবাসীরা অত্যন্ত সজাগ এবং দায়িত্বশীল ছিলেন। আর এ কারণেই বিএনপি এবং তারেকের আহ্বানে সেখানে কেউ সাড়া দেয়নি। এমনকি অন্যান্য সময়ে লন্ডনে যেমন তারেক জিয়ার কিছু একান্ত অনুগতরা নানা রকম বিক্ষোভ করে এবার সেই বিক্ষোভ করার লোকও পাওয়া যায়নি।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে লন্ডন প্রবাসী একজন বাঙ্গালী বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী এখন আমাদের অহংকার। তিনি শুধু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নন, একজন বিশ্বের নেতা। সারা বিশ্বেই তিনি এখন একটি মর্যাদার আসনে আছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে।
এ রকম পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধা দেয়া মানে বাংলাদেশকে অবমাননা করা। আর তাই বিএনপির এবং তারেকের পরিকল্পনাকে যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাঙ্গালীরা প্রত্যাখ্যান করেছে। আর তারা এ ধরনের তৎপরতার ব্যাপারে নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এর ফলে প্রধানমন্ত্রীর সফরে কোন বিক্ষোভ বা প্রতিবাদ করা তো সম্ভবই হয়নি। বরং বিএনপির এই ধরনের তৎপরতার কারণে যুক্তরাজ্যে বিএনপির অবস্থানই আরও ক্ষুণ্ণ হয়েছে।
সাধারণ মানুষ মনে করে যে, একজন দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন বিদেশে যান তখন তিনি একজন সম্মানিত অতিথি। তাকে অপমানিত করা মানে হলো দেশকে অপমানিত করা। প্রবাসীরা দেশের প্রতি ভালোবাসা অনুভব করেন এবং তারা মনে করেন বিশ্বে যখন বাংলাদেশের সুনাম হয় সেটাই তাদের সবচেয়ে বড় শান্তি।
আর এ রকম পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার বিকল্প কাউকে তারা ভাবতে চান না। এবং তারা মনে করেন যে, শেখ হাসিনা আছে বলেই আজকে বাংলাদেশ এ জায়গায় এসেছে। আর তাই এবারের সফরে এক বিরল ব্যতিক্রম ঘটেছে।
শেখ হাসিনার লন্ডন সফরে যুক্তরাজ্য প্রবাসী সমগ্র বাঙ্গালীরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এবং তারা মনে করছে যে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যে ষড়যন্ত্র সেই ষড়যন্ত্রগুলোকে উপড়ে ফেলার জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। প্রধানমন্ত্রী লন্ডনে বাধাপ্রাপ্ত হননি, বরং লন্ডন জয় করেছেন।
সূত্র: বাংলা ইনসাইডার