khaleda_zia_mukti

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে ভোট দিন

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে শুরু হয়েছে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি। খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবীতে সারা দেশব্যাপী চলবে এ কর্মসূচি। এসময় দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্যহারা না হয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারর হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকত উল্লাহ বুলু, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবেদিন ফারুক, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।

বিএনপির মহাসচিব জানান অনলাইনে http://www.bnpbangladesh.com/free-khaleda-zia/এই লিংকে গিয়ে স্বাক্ষর করা যাবে। এ ছাড়া বিএনপির ‘অফিসিয়াল’ ওয়েবসাইট bnpBangladesh.com এ ‘খালেদা জিয়াকে মুক্ত কর’ নামে নতুন সেকশন যোগ করা হয়েছে। সেখানে ‘আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ এবং #freeKhaledaZia #freeBKZ #PeacefulProtestBD  এই তিনটি হ্যাশট্যাগ ও খালেদা জিয়ার একটি ছবি দিয়ে ব্যানার ইমেজ দেওয়া আছে। এরপর নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে। স্বাক্ষরের পর লেখা দেখাচ্ছে ‘আমি অনতিবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যেমে আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করে আনবো। আমি দলের নেতাকর্মীদের আহ্বান জানবো আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন, রাজপথে নেমে আসুন, কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না।

তিনি বলেন, সরকারি দল উস্কানি দিবে যাতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি হয় তারা রাজনৈতিক সুবিধা নিতে পারে। আমরা তাদের সেই সুযোগ দিবো না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমদের নেত্রীকে মুক্ত করবো। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায় করবো।

অন্যদিকে চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘দলের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (bnpbangladesh.com) “খালেদা জিয়াকে মুক্ত কর” নামে নতুন সেকশন তৈরি করা হয়েছে।’

তিনি জানান, সেকশনে ‘আমি খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই’ এবং #freeKhaledaZia, #freeBKZ, #PeacefulProtestBD – এই তিনটি হ্যাশট্যাগ ও বেগম জিয়ার একটি ছবি দিয়ে ব্যানার ইমেজ দেওয়া আছে। এরপর নাম ও ঠিকানা ব্যবহার করে স্বাক্ষর করার ব্যবস্থা রয়েছে।

স্বাক্ষরের উপর লেখা আছে – ‘আমি অনতিবিলম্বে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই।’

সরকার গোটা দেশের মানুষকে অপমান করেছে: কর্নেল অলি আহমদ

‘খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধীদলীয় নেত্রী, সাবেক রাষ্ট্র ও সেনাপ্রধানের স্ত্রী। তাকে সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে না পাঠিয়ে তার বাসভবনকে সাব-জেল করা যেত। কিন্তু সরকার তা না করে তাকে পুরান ঢাকার একটি নির্জন কারাগারে পাঠিয়েছে। এর মাধ্যমে সরকার গোটা দেশের মানুষকে অপমান করেছে।’ বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলী আহমদ বীর বিক্রম।

ভোট দিতে ক্লিক করুন

শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) ড. অলী আহমদ বীর বিক্রম।

২০ দলীয় জোটের এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে নির্জন কারাগারে পাঠিয়ে দেশের মানুষকে বেইজ্জতি করেছে সরকার। তাকে যেখানে রাখা হয়েছে সেটি তার জন্য নয়। তার সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে এর জবাব দেশের মানুষ একদিন দিবে।’

কর্নেল অলি আহমদ আরো বলেন, আমি দেশের মানুষকে আহ্বান জানাব কোনো সহিংসতা নয়, দেশের ক্ষতি হয় এমন কোনো কর্মসূচি নয়, আপনারা বিএনপি ও ২০ দলের নেতৃত্বে গণতন্ত্র উদ্ধারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে রাজপথে নেমে আসুন। এটা আপনাদের দায়িত্ব, কাউকে ভয় করবেন না। আমরা চাই, এ দেশ সুষ্ঠু, সুন্দর ও স্বাধীনভাবে চলুক।

খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করায় রাজনৈতিক সঙ্কট আরো বাড়বে: অলি আহমেদ
‘বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দি করায় রাজনৈতিক সঙ্কট আরো বাড়বে’ বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডোমোক্র্যাটি পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ বীর বিক্রম।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর এফডিসি এলাকায় অবস্থিত এলডিপির জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করে বিএনপির কর্মসূচীর সাথে একাত্বতা ঘোষণা করেন।

খালেদা জিয়ার এই রায় সরকারের পূর্বপরিকল্পিত দাবি করে এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বলেন, ‘এই রায় সরকারের পূর্বপরিকল্পিত, আর নয়তো আকস্মিকভাবে রায়ের ১৫ দিন আগে কেন নাজিমউদ্দীন রোডের পরিত্যক্ত কারাগার সংস্কার করা হবে? বৃহস্পতিবার কেন রায় দেয়া হবে? ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় কিভাবে ১০ দিনের ভেতর লেখা সম্ভব হয়?’

কর্নেল অলি খালেদার এই রায় ও তার ডিভিশন প্রাপ্তির বিষয়ে বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে হঠাৎ করে কেন নাজিমউদ্দীন রোডের পরিত্যক্ত কারাগার সংস্কার করা হলো? বিএনপি এই খবর রাখলো না কেন? আর বৃহস্পতিবার রায়ের দিন দেয়ার পেছনে কারণ ছিলো যেন শুক্রবার ও শনিবার খালেদা জিয়াকে জেলে রাখা। তাও আবার পরিত্যক্ত জেলে! সেখানে তাকে কয়েদিদের পোশাক পরানো হয়েছে বলে আমরা শুনেছি।

এর সঙ্গে এরশাদ জড়িত আছে বলে আমি মনে করি। কারণ তিনিও নাজিমউদ্দীন রোডের জেলে এক সময় বন্দি ছিলেন। বেগম জিয়াকে কেন সেখানে রাখা হলো? তাকে তো কাশিমপুর বা ঢাকায় নির্মিত নতুন কারাগারেও রাখা যেতো। বেগম খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধামন্ত্রী, সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী। তার জন্য কেন ডিভিশন চেয়ে আবেদন করতে হবে? এটিতো এমনিতেই পাওয়ার কথা।’

তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতি এ ধরনের আচরণ হবে তা জনগণ কখনো আশা করেনি। তিনি একজন সাবেক সেনাপ্রধানের স্ত্রী, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, কয়েকবারের বিরোধী দলীয় নেত্রী এবং বিএনপির চেয়ারপারসন। যুক্তরাষ্ট্র, জাতিসংঘসহ অনেক দেশ এই আচরণে উদ্বেগ জানিয়েছে। তাদের প্রতি আমরা ধন্যবাদ জানাই। সমগ্র জাতির এর প্রতিবাদ জানাতে হবে।

মেজর জিয়াউর রহমানের একসময়কার ঘনিষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘যে কারণে খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে তার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি কোন অর্থ তসরুফ করেননি। হয়তো কিছু নিয়মে ভুল ছিলো। এর বাইরে কিছু না। দেশে বড় বড় দুর্নীতিবাজদের কোন বিচার হচ্ছে না। হাজার হাজার কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে সরকারের মহলের অনেকে। তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। অথচ কোন দোষ না করেও বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করা হয়েছে।’

khaleda_zia_mukti
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনলাইনে ভোট দিন

বিএনপির উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘বিএনপি অতি দ্রুততার সাথে আগামীকালই যেন হাইকোর্টে আপিল করে খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যবস্থা করে। আমি বিচারপতিদের অনুরোধ জানাবো, ন্যায়বিচার করে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিশ্চিত করুন।’ খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি করার জন্য সরকার সমস্ত তথ্য গোপন রেখেছে বলে দাবি করেন তিনি।

খালেদা জিয়াকে বন্দি রাখার প্রতিবাদে জনগণ অবশ্যই রাস্তায় নামবে মন্তব্য করে কর্নেল অলি বলেন, ‘সরকারকে এর পরিণতি বুঝতে হবে। আমাদেরকে ধ্বংসাত্মক কোন কাজের দিকে ধাবিত না করার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।’

অনতিবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্তির দাবি জানিয়ে বিএনপির ডাকা সকল প্রতিবাদ কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন কর্নেল অলি আহমদ।

আন্দোলন তেমন নেই, এটি কি আপনাদের নমনীয়তা কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমরা একদমই নমনীয় না। খালেদা জিয়া একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি সাবেক সেনাপ্রধানের একজন স্ত্রী। সরকারের এ ধরনের কর্মকাণ্ডে দেশের সংকট আরো ঘনিভূত হবে। এই কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে না।’

খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি নেতৃত্ব সংকটে পড়বে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘কারো অনুপস্থিতি কোন দল থেমে থাকে না। একজন গেলে আরেকজন তার জায়গা নেয়। আর বেগম খালেদা জিয়াকে বেশি দিন জেলে বন্দি রাখা যাবে বলে আমি বিশ্বাস করি না। তাকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।’

ধৈর্যহারা ও বিশৃঙ্খল হবেন না, কর্মীদের ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জনগণের উত্তাল, সোচ্চার প্রতিবাদের মুখে এই সরকারকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে। দলের নেতা-কর্মীদের ধৈর্য ধরে সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে।

মির্জা ফখরুল দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘কখনো ধৈর্যহারা, বিশৃঙ্খল হবেন না। কর্মসূচিগুলো শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে হবে।’

কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি শুরু করে বিএনপি। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করার সময় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ আহ্বান জানান।

দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি যেন সরকারের উসকানি ও নীলনকশা ব্যর্থ করে দিয়ে বিজয়ে পরিণত হয়, সেদিকে খেয়াল রাখারও আহ্বান জানান বিএনপির মহাসচিব।

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি গতকাল শুক্রবার নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ঢাকাসহ সারা দেশে গণস্বাক্ষর অভিযান শুরু করে দলটি। কাল রোববার ঢাকাসহ সব জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং আগামী সোমবার ঢাকা বাদে সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি। এর আগে একই দাবিতে গত সপ্তাহে তিন দিনের কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে সংকটময় মুহূর্তে আমরা উপস্থিত হয়েছি। আজকে এই দেশের স্বাধীনতা থাকবে কি না, সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, গণতন্ত্র থাকবে কি না, আমরা কেউ স্বাধীন অস্তিত্ব নিয়ে টিকে থাকতে পারব কি না, সেখানেই আজকে প্রশ্ন হচ্ছে।’

আজ নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচে বেলা সাড়ে ১১টায় গণস্বাক্ষর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম। সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দলের নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিএনপির নেতা-কর্মীরা ফুটপাতের ওপর দাঁড়িয়ে যান। নেতা-কর্মীদের একটু পাশে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে দাঁড়িয়ে ছিল। বিএনপির নেতা-কর্মীদের অনেকে এ সময় বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরুর একপর্যায়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে দ্রুত সরে যেতে দেখা যায়। পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালাতে পারে, এই ভয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয় ত্যাগ করেন বলে সূত্র জানায়।

এদিকে আগের কর্মসূচিগুলোর তুলনায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের উপস্থিতি তুলনামূলক কমে গেছে। আজকের কর্মসূচিতে মহিলা দলের সদস্যদের উপস্থিতি অন্য দিনের তুলনায় বেশি ছিল। এ ছাড়া বিএনপির সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতা-কর্মীদের কম দেখা গেছে।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে মুক্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে মুক্ত করার জন্য এবং মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন করছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য, আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হচ্ছে। যত দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বেরিয়ে না আসছেন, তত দিন পর্যন্ত এই গণস্বাক্ষর অভিযান চলতে থাকবে। আজ শুধু এটির শুভসূচনা হলো।

ফখরুল ইসলাম বলেন, এই অবৈধ-অনৈতিক সরকার সম্পূর্ণভাবে গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। জনগণের কোনো সমর্থন তাদের সঙ্গে নেই। তারা তাই আজ গণবিচ্ছিন্ন হয়ে তাদের সেই পুরোনো যে আশা, অভিপ্রায়—একদলীয় শাসনব্যবস্থা ভিন্ন লেবাসে প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করেছে। হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে সরকার গ্রেপ্তার করেছে।

গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আজ গণস্বাক্ষর অভিযানের মাধ্যমে এই স্বৈরাচারী সরকারকে বিদায় করা হবে। খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে এই দেশের মুক্তি, গণতন্ত্রের মুক্তি। তিনি আরও বলেন, সরকার খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার চিন্তা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে, এ দেশের জনগণ সরকারের পরিকল্পনা সফল হতে দেবে না।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা উল্টাপাল্টা কথা বলছেন। উল্টাপাল্টা কথা বলে, উসকানি দিয়ে ছেলেপেলেদের খেপাবেন না। অনুরোধ থাকল, বিএনপি শান্তিপূর্ণ একটি দল। অশান্তি তৈরি করলে যেকোনো অশান্তির জন্য আপনারা দায়ী থাকবেন।’

আজকের গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, শামা ওবায়েদ, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, ইশতিয়াক আজিজ, আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, বেবী নাজনীন, হেলেন জেরিন খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

2 comments

  1. আমি অনতিবিলমবে দেশ মাতা বেগম জিয়ার মুকতি চাই

  2. আমি অনতিবিলমবে দেশ মাতা বেগম জিয়ার সমমানের সহিত মুকত দেখতে চাই

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin