mirja_bnp

সংকট নিরসনে সংলাপের কোন বিকল্প: মির্জা ফখরুল

গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা এবং নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন নতুন বছরে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সোমবার দুপুরে ছাত্রদলের ৩৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে বিএনপির প্রতিষ্ঠিাতা শহীদ জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা জাননোর পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।

এসময় মির্জা ফখরুল আরো বলেন, সংকট নিরসনে সংলাপের কোন বিকল্প নাই।

আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসবেন না: মির্জা ফখরুল
‘আগামী নির্বাচনে যাবো, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যাবেন কিন্তু ওনারা (আওয়ামী লীগ) যাবেন না। কারণ নির্বাচন হবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে, ওনারা নিরপেক্ষ নির্বাচনে আসবেন না।’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয়তাবাদী কৃষকদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন তিনি। এসময় তিনি অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই নির্বাচন নিয়ে কথা বলছেন। আমরা নির্বাচনে তো যাবই, দেশনেত্রীও থাকবেন। বরং আওয়ামী লীগই নির্বাচনে থাকবেন না। কারণ, তারা ভালো করেই জানে নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হবে?’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন তো দিতেই হবে এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ২০১৮ সালেই আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন।’

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, ‘২০১৮ সাল বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাল। ২০১৮ সাল বিএনপির সাল, ২০১৮ সাল তারেক রহমানের সাল, ২০১৮ সাল এই দেশের গণমানুষের সাল যারা লড়াই করে যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতাকে ফিরিয়ে এনেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য সমস্ত কিছু ধ্বংস করে দিয়ে একদলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছে। তারা বেহায়ার মত বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। কোনো সংবিধান? এমন সংসদে সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে, যেটা জনগণের সংসদ নয়। এখানে ১৪৫ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত।’

আওয়ামী লীগকে ইঙ্গিত করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশ থেকে ফ্যাসিস্ট একনায়ক সরকারকে সরাতে না পরলে আমাদের অস্তিত্ব থাকবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

তিনি দলের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সংগঠন, আন্দোলন এবং নির্বাচনের জন্য এক সঙ্গে প্রস্ততি নিতে হবে। আন্দোলন করেই নির্বাচন আদায় করে ক্ষমতায় যেতে হবে।’

কৃষকদলের ৩৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে এবং সহ-দপ্তর সম্পাদক এস কে সাদীর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষক দলের সহ-সভাপতি ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী,

বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কৃষকদলের সহ-সভাপতি এম এ তাহের, নাজিম উদ্দীন মাস্টার, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক তকদির হোসেন মো. জসিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. আলিম হোসেন, অধ্যক্ষ সেলিম, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ এমএ মালেক, ছাত্রদলের এজমল হোসেন পাইলট প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin