ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জিম্বাবুয়ের কাছে ১২ রানের পরাজয়ের পর ফেরার মিশনে ব্যর্থ হাতুরুসিংহের শীর্ষরা। বাংলাদেশের ২৫.৪ ওভারে ১১৭ রানের মাথায় শ্রীলঙ্কার ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন। এক বল পরে উইকেটে নেমেই সাকিবকে তুলে মারতে গিয়ে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন হাসারাঙ্গা। অর্থাৎ ১১৭ রানে সপ্তম ব্যাটসম্যান হিসেবে সাজঘরের পথ ধরেন হাসারাঙ্গা।
১০৬-৪ থেকে ১৫২-৯। স্কোর বোর্ড প্রমাণ দেয় টাইগার বোলারদের বিপক্ষে কতটা অসহায় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ইতিহাসের সবচেয়ে বড়, ১৬৩ রানের জয় পেল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটি ৬ষ্ঠ ওয়ানডে জয়।
শুরুটা হয়েছিল অফ স্পিনার নাসির হোসেনকে দিয়ে অধিনায়কের অস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার। তৃতীয় ওভারে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দয়ে নাসির। মাশরাফি, রুবেল, মুস্তাফিজ ও সাকিবদের বোলিং তোপে শুরু থেকেই দিশেহারা শ্রীলঙ্কান শিবির। মাশরাফির দ্বিতীয় ওভারটার কথা বিশেষ করে বলতেই হয়। ম্যাশের সুয়িংয়ের কাছে দারুণ ভাবে পরাস্থ হয় থারঙ্গা।
ম্যাচের দশম ওভারের ৪র্থ বলে বাংলার অধিনায়কের বল মিড উইকেটের উপর দিয়ে খেলতে গিয়ে রিয়াদের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন লঙ্কান ওপেনার উপুল থারাঙ্গা। দু’ওভার পরে আবারও লঙ্কান দূর্গে হানা দেন নড়াইল এক্সপ্রেস।
রুবেলের হাতে ক্যাচ বানিয়ে ১৯ রান করা কুসাল মেন্ডিসরক আউট করেন মাশরাফি। এরপর দলীয় ৮৫ রানের মাথায় ডিকভেলার স্টাম্প উড়িয়ে দেয় কাটার মাষ্টার মুস্তাফিজ। ২৮ রান করে সাকিবের দারুন থ্রোতে রান আউটে কাটা পরেন অধিনায়ক চান্দিমাল।
শেষ দিকে থিসারা পেরেরার ১৪ বলে ২৯ রানের ছোট্ট ঝড় পরাজয়ের ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।