dudu

শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত: দুদু

মাদক নির্মূলের নামে বিনাবিচারে সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মানুষ হত্যার সমালোচনা করে ইতিহাসের প্রসঙ্গে টেনে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি, বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন,‘১৯৭২ থেকে ৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব একটা কথা বলতেন যে নকশাল দেখলেই গুলি করো, তখন ভাসানী বলতো নকশাল পিঠে লেখা থাকে নাকি? আসলে শেখ মুজিবকে তখন ক্ষমতা হারানোর ভীত সন্ত্রস্ত করে তুলেছিল।

তেমনিভাবে আজ তার কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত। যে কারণে মাদকসেবী বা বিক্রেতা নামে যাকে সামনে পাচ্ছে তাকেই উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং পরদিন তার লাশ পাওয়া যাচ্ছে।গত এক সপ্তাহ ধরে তারা খুব দম্ভের সাথে বলছেন পঞ্চাশের অধিক মানুষ মারা হয়েছে।’

শুক্রবার (২৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদী নাগরিক সভায় তিনি প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।খালেদা জিয়া মুক্তি পরিষদ নাগরিক প্রতিবাদী সভাটির আয়োজন করে।

তিনটি উপায়ে আমরা বর্তমান এই অবৈধ সরকারের পতন ত্বরান্নিত করতে পারি এমন মন্তব্য করে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এক নির্বাচনের মাধ্যমে, দুই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে এবং তিন নম্বর কারণটি হলো- একেবারে ধর্মীয়ভাবে আমরা আল্লাহর কাছে এদের (সরকারের) অনাচারের বিচার চাইবো, তিনি যদি তাদেরকে সরিয়ে দেন।’

এসময় তিনি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আসুন নিজেদের উপর আস্থা রাখি, বিশ্বাস রাখি নিজেদের হাতে যেটা আছে, গণঅভ্যুত্থান, তার মাধ্যমেই এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করি।’

এসময় কৃষকদলের এই সাধারণ সম্পাদক প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘আমি জানি না ক্রসফায়ার নামে কোনো আর্টিকেল সংবিধানে আছে কিনা? মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করার অধিকার সংবিধান কোনো বাহিনীকে দিয়েছে কিনা? কোর্ট সামান্য কারণে কাউকে কাউকে হাজির করে তাকে জেরা করে।

সন্তুষ্ট না হলে জেলে ভরে দেয় গত এক সপ্তাহে পঞ্চাশের অধিক মানুষ হত্যা করা হলো কিন্তু বিচারালয়, সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন ভয়ংকর ভাবে সেটিতে নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করছে।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কারাবন্দি প্রসঙ্গে শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘বেগম জিয়া রাজনীতি করছেন মানুষের জন্য। মানুষের কল্যাণের জন্য, দেশের জন্য গণতন্ত্রের জন্য। যারা দেশের জন্য রাজনীতি করে না, মানুষের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করে না, নিজের স্বার্থের জন্য রাজনীতি করে, তারা তো বেগম জিয়াকে জেলে ভরবেই, নির্যাতন করবেই।

তার (খালেদার) নেতাকর্মীদের নির্যাতন করবে খুন করবে, এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নাই। উদ্বিগ্ন হওয়ার বিষয়টি হলো আমরা আমাদের কাজগুলো ভালোভাবে করতে পারছি কিনা? আমরা এদের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুতি নিতে পারছে কিনা।’

আয়োজক সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিজানুর রহমান চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদী নাগরিক সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। এসময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদ শিরীন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মাদ রহমাতুল্লাহ প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin