জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ বৃহস্পতিবার ছিল আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের তৃতীয় দিন। বেলা ১১ টার দিকেই বেগম জিয়া গাড়িবহর নিয়ে হাজির হন বকশীবাজারের আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ আদালতে। যুক্তিতর্ক শেষে দুপুরেই ফিরবেন বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু আদালত দুপুরে কিছুক্ষণ মূলতবি রেখা দুইটার পরে আবার বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে।
আদালতের এমন পদক্ষেপে অনেকের মনেই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কী মামলার রায় শিগগিরই আসছে? আর এমনটি ঘটলে কী করবে বিএনপি?
দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০১৪ সালে এইমামলায় অভিযোগপত্র গঠন করেন আদালত। মামলায় বেগম জিয়া ছাড়াও তাঁর বড় ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ছয়জন আসামি।
আজকের ঘটনায় অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দ্রুতই শেষ হচ্ছে। তবে এ নিয়েও অভিযোগ বেগম জিয়ার। ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দ্রুত শেষ করা হচ্ছে বলে মত তাঁর।
তবে বিষয়টি নিয়ে ভিন্নমত অনেকের, সবাই যখন মামলা দ্রুত শেষ হলে হাফ ছেড়ে বাঁচে, খুশি হয়, সেখানে বেগম জিয়া কেন মামলা দ্রুত শেষ হওয়ার সম্ভাবনায় ক্ষুব্ধ।
বেগম জিয়া দণ্ডিত হলে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। গত কয়েকদিন ধরে রাজনৈতিক পাড়ায় গুঞ্জন বেগম জিয়ার মামলা পিছিয়ে দেওয়া হলেই বিএনপি আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে নির্দলীয় সরকারের দাবি বিএনপির বৃহস্পতিবারের রসিক নির্বাচনের পর তাও যোগ্যতা হারিয়েছে।
একাধিক সূত্রের খবর, বেগম জিয়া দণ্ডিত হবে না এমন ভরসায় আপদকালীন কোনো নেত্বতও নেই বিএনপিতে। এখন বেগম জিয়া দণ্ডিত হলে বিএনপি হবে পুরোপুরি নেতৃত্বশূন্য। তখন সিনিয়র নেতারা যদি নির্বাচনে গেলে দলের কেউ বাঁধা দেওয়ার থাকবে না।
আজ বেগম জিয়ার আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর সময় দিয়েছে আদালত। আদালতের দ্রুত এগিয়ে চলার নীতির এমন স্পষ্টতার পরও বিএনপি নিজেদের গোছাবে নাকি ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী নেতৃত্বশূণ্য অবস্থায় আবার পড়বে, তা সময়ই বলে দেবে।
বাংলা ইনসাইডার