মৌলভীবাজারে দুই ছাত্রলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শহরের সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্র শহরের পুরাতন হাসপাতাল রোডের বাসিন্দা আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে শাহবাব রহমান (২৩)। অপরজন সদর উপজেলার দুর্লবপুর গ্রামের বিলাল হোসেনের ছেলে মাহি আহমদ (১৮)।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুহেল আহম্মদ বলেন, ধারণা করা হচ্ছে- ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। দু’জনের মরদেহ মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রয়েছে।
জাগোনিউজ
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী জাকিরের সঙ্গে ছাত্রদল নেতার ‘ঘনিষ্ঠতা’ নিয়ে তোলপাড়………
একটি ছবি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোলপাড় চলছে। ছবিতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনের সঙ্গে বিএনপির ছাত্রদল সংগঠনের নেতা অভ্র কুমার দাসকে ‘ঘনিষ্ঠভাবে’ দেখা গেছে।
এই অভ্র কুমার দাস সিলেটের জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম একাত্তরের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক। বিভিন্ন সময়ে তাকে বিএনপি নেতাদের মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় অবস্থানে দেখা গেছে।
ছাত্রলীগের মতো সংগঠনের শীর্ষনেতা এভাবে ছাত্রদলের নেতা নিয়ে ঘুরবেন, তা নিয়ে দলের মধ্য থেকেই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
ছবিটি গত ৫ ডিসেম্বর সিলেটে তোলা বলে জানা গেছে। সেখানে জাকিরের সঙ্গে অভ্র কুমার দাস ছাড়াও স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতাদের দেখা গেছে।
এর আগে সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রুহুল আমিনের সঙ্গেও অভ্র কুমার দাসকে দেখা গেছে। তিনি সিলেটের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ছাত্রদলের কর্মী সংগ্রহের কর্মসূচিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন।
তাছাড়া বিএনপির বিভিন্ন নেতার কারামুক্তির কর্মসূচিতে অভ্রর সক্রিয় অবস্থায় দেখা গেছে।
ছবির বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা পরির্বতন ডটকমকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বিএনপির ছাত্র সংগঠনের সক্রিয় কর্মীর ছবি বেমানান। যে দল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কুৎসা রটায়, তাদের নেতাকর্মী নিয়ে ছবি তোলার আদর্শের পরিপন্থী।’
এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘আমি বাড়িতে গেলে বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে দেখা করি। ছাত্রদলের সব নেতাকে আমার চিনে রাখা সম্ভব নয়। ঘোরাঘুরির সময় হয়তো অভ্র নামের ছেলেটি ছবি তুলেছে। এখন আপনারাই বলেন, আমার কি করার আছে?’
উৎসঃ পরিবর্তন