মওদুদ – জমির বাদ

বেগম জিয়ার দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টের লড়াইয়ের মূল টীমে নেই ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ এবং ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মামলার কার্যক্রম এবং কৌশল নিয়ে অনুষ্ঠিত আইনজীবীদের বৈঠকে এরা দুজন ছিলেন না। খন্দকার মাহবুব হোসেনের চেম্বারে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট হাসান আরিফ , আমিনুল ইসলাম, জয়নাল আবেদিন, আবদুর রেজ্জাক খান ও সানাউল্লাহ মিয়া।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টে আপীলের শুনানীর পয়েন্ট নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। বেগম জিয়ার আইনজীবীরা আপীলে কোন পয়েন্ট উথাপন করবেন, রায়ে কি কি অসংগতি আছে, এসব বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। ব্যারিষ্টার মওদুদ কেন নেই, জানতে চাওয়া হলে, নাম প্রকাশ না করার শর্তে বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী বলেছেন ‘এটা কোর টিমের বৈঠক। মওদুদ স্যার নিশ্চয়ই তার মতো প্রস্তুতি নিবেন। ‘

ঐ আইনজীবী অবশ্য জানিয়েছেন, জামিন মঞ্জুর করার পরপরই তারা বেগম জিয়ার দন্ড স্থগিত করার আবেদন করবেন। সেই শুনানিতে ব্যারিস্টার মওদুদ ও জমির উদ্দিন সরকার থাকবেন। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, লন্ডন থেকে তারেক জিয়াই মামলার কৌশলগত মিটিংয়ে মওদুদ আহমেদকে না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলা ইনসাইডার

যে ৩০ আসন চেয়ে বিএনপিকে অলির চিঠি

নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরীক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। এ কারণে বিএনপি মহাসচিবের কাছে দলের সম্ভাব্য ৩০ জন প্রার্থীর তালিকা দিয়েছে এলডিপি। ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীরবিক্রম এই তালিকা দেন বলে আজ শুক্রবার এলডিপির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কর্নেল (অব.) অলির মহাখালী ডিওএইচএস-এর বাসায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বৈঠক হয়। এতে আগামী দিনের আন্দোলন-সংগ্রাম, নির্বাচন ও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় কর্নেল অলি আগামী নির্বাচনে তার দলের সম্ভাব্য ৩০ প্রার্থীর তালিকা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দেন।

এ সময় জোটের প্রধান সমন্বয়ককে কর্নেল অলি জানান, সারা দেশের অন্তত ১০০টি আসনে নির্বাচন করার জন্য তার দল এলডিপি প্রস্তুত রয়েছে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ক্ষেত্রে এদের মধ্য থেকে অন্তত ৩০ জনকে মনোনয়ন দিতে হবে।

এ প্রসঙ্গে এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, নেত্রীর মুক্তির আন্দোলন এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি এক সঙ্গেই চালাতে হবে। তারা শুধু আন্দোলনের জন্য জোটবদ্ধ হননি, নির্বাচনও লক্ষ্য তাদের। তাই সময় নষ্ট না করে নির্বাচন নিয়েও এখনই কথা বলতে হবে।

ই ৩০ জনের তালিকায় যারা রয়েছেন তারা হলেন- এলডিপির চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বীর বিক্রম (চট্টগ্রাম-১৪), মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ (কুমিল্লা-৭), প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুল করিম আব্বাসী (নেত্রকোনা-১), অ্যাডভোকেট আবু ইউসুফ মোহম্মদ খলিলুর রহমান (জয়পুরহাট -২), প্রফেসর মোহম্মদ আব্দুল্লাহ (চাঁদপুর-৩), আব্দুল গণি (মেহেরপুর-২),

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম (লক্ষীপুর-১), প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. কামালউদ্দিন মোস্তফা (মাগুরা-১), ব্যারিস্টার নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নুরুল আলম (চট্টগ্রাম-৭), উপদেষ্টা মো. আবু জাফর সিদ্দিকী (ময়মনসিংহ-২),

ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. নেয়ামুল বশির (চাঁদপুর-৫), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট কফিল উদ্দীন চৌধুরী (চট্টগ্রাম-১৬), ড. জহিরুল হক (ঝালকাঠি-১), সাংগঠনিক সম্পাদক সালাহ উদ্দীন রাজ্জাক (গোপালগঞ্জ-১), সাংগঠনিক সম্পাদক এম. এ বাশার (ময়মনসিংহ-৮), শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. এয়াকুব আলী (চট্টগ্রাম-১২), ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. হামিদুর রহমান (ময়মনসিংহ-৯), অ্যাডভোকেট চৌধুরী এম এ খাইরুল কবির পাঠান (নেত্রকোণা-৫), যুগ্ম মহাসচিব তমিজ উদ্দীন টিটু (ঢাকা-৫), উপদেষ্টা অধ্যাপিকা কারিমা খাতুন (বগুড়া-১),

সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা তপতী রানী কর (ময়মনসিংহ-৬), সাংগঠনিক সম্পাদক তৌহিদুল আনোয়ার (ঝালকাঠি-২), উপদেষ্টা শফিউল আলম ভূঁইয়া (চট্টগ্রাম-১), অ্যাডভোকেট মোবারক হোসেন (টাঙ্গাইল-৪), যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান (বগুড়া-৩), প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান (মাদারীপুর-২), মোস্তফা কামাল চৌধুরী (নওগাঁ-১) ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান রূপা (সুনামগঞ্জ-৩)।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin