khaleda_zia

বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে দেড় ঘন্টার বৈঠকে যা বললেন খালেদা জিয়া

সংগঠনকে শক্তিশালী করে জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবীরা। রোববার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক পরামর্শসভায় বিএনপির চেয়ারপারসনকে এ পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে অংশ নেন ২২ জন বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীরা। এদের মধ্যে কয়েকজন বিএনপির সিনিয়র নেতাও রয়েছেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে বৈঠকটি শুরু হয়। শেষ হয় রাত সাড়ে ১১টায়। খালেদা জিয়ার আহ্বানে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে আমন্ত্রিত হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহ, অধ্যাপক মুস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক সদরুল আমীন, ইব্রাহিম খলীল, অধ্যাপক আনোয়ারুল্লাহ খন্দকার চৌধুরী, কবি আবদুল হাই শিকদার,

বিএনপি নেতাদের মধ্যে আবদুল্লাহ আল নোমান, প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ, অ্যাডভোকেট মাহবুব হোসেন, সাংবাদিক শওকত মাহমুদ, রুহুল কবির রিজভী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও সানাউল্লাহ মিয়াসহ অনেকে।

বৈঠকসূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে খালেদা জিয়াকে কয়েকজন বুদ্ধিজীবী পরামর্শ দিয়ে বলেন, সারা দেশে বিএনপির সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করে জনসম্পৃক্ততা বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর কমিটি অতিদ্রুত দিয়ে দিতে হবে। বিশেষ করে ঢাকা মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল এবং ছাত্রদলের পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিয়ে দেওয়ারও পরামর্শ দেন তারা।

বৈঠকে একাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙ্গে দিতে সরকারকে বাধ্য করতে সংগঠন শক্তিশালী করার বিকল্প নেই বলেও খালেদা জিয়াকে পরামর্শ দিয়েছেন বুদ্ধিজীবীরা।

প্রায় আড়াই ঘণ্টার এ বৈঠক সূত্রে আরো জানা যায়, বৈঠকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী খালেদা জিয়াকে মামলার বিষয়ে পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম আপনি আপনার মামলাগুলো নিয়মিত কোর্টে শুনানির ব্যবস্থা করেন। আপনার মামলা বিশেষ আদালতে নেওয়া সরকারের একটি কৌশল মাত্র। প্রতিদিন আপনাকে বিভিন্ন কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রাখা ছাড়া আর কিছু নয়।’

সূত্রে আরো জানায়, ‘প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য খালেদা জিয়াকে পরামর্শও দেন জাফরুল্লাহ। জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসনও জানান, তিনি যোগাযোগ রাখছেন। বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ তাকে এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

বৈঠকে খালেদা জিয়ার ঢাকার বাইরে সফরে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। ডা. জাফরুল্লাহ তাকে মাঘ মাসের পর ঢাকার বাইরে যাওয়ার পরামর্শ দেন।

সকলের পরামর্শ শুনে দলীয় ফোরামে এ সকল সিদ্ধান্ত নিবেন বলে বুদ্ধিজীবীদের আশ্বাস দিয়েছেন খালেদা জিয়া।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin