khaleda_zia

বিএনপি নেতাদের সাথে খালেদার ‘নো টক’

২৫শে মার্চ ৬ মাসের দণ্ড রহিতকরণ প্রক্রিয়ায় বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পেয়েছেন। এখন তিনি তাঁর গুলশানের বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসকরা জানিয়েছেন যে, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কারামুক্তির পর ফিরোজায় আসা পর্যন্ত এলাকায় চারদিকে ব্যাপক জনসমাগম ছিল এবং এই সময়ে বেগম খালেদা জিয়া জনসংস্পর্শে আসার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।

একারণে বেগম খালেদা জিয়াকে ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এসময় বেগম খালেদা জিয়া তাঁর বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না এবং সাধারণ মানুষকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছেনা।

তবে বেগম খালেদা জিয়া এই সময়ে লন্ডনে এবং বিভিন্ন ব্যক্তির সঙ্গে টেলিফোনে যোগাযোগ করছেন, কথা বলছেন, তাঁদের খোঁজখবরও নিচ্ছেন। জানা গেছে যে, বেগম খালেদা জিয়া কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাঁর টেলিফোন সংযোগ ঠিক করা হয়েছে, তাঁকে তাঁর ভাই একটি মোবাইল ফোন-ও দিয়েছেন।

জেল থেকে বের হওয়ার পর তিনি নিয়মিত লন্ডনে কথা বলছেন, তারেক জিয়ার সাথেও কথা বলছেন, তেমন তাঁর স্ত্রী জোবায়দার সাথেও কথা বলছেন। কথা বলছেন প্রয়াত কোকোর স্ত্রী সৈয়দা রহমান শীথির সাথে। এছাড়াও তিনি দেশের বাইরে তাঁর ঘনিষ্ঠজনদের সাথেও আলাপ আলোচনা করছেন বলেও জানা গেছে।

তবে এখন পর্যন্ত গত তিন দিনে বিএনপির কোন নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেননি এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে মানা করেছেন তাঁর ভাই শামীম এস্কান্দার। বিএনপি নেতৃবৃন্দের সাথে কেন বেগম জিয়া কথা বলছেন না তাঁর কোন ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি।

বেগম খালেদা জিয়ার বোন সেলিনা ইসলাম বলেছেন যে, বেগম খালেদা জিয়া এখনো শারীরিকভাবে অসুস্থ, কোন রাজনৈতিক বিষয় বা জটিল কোন বিষয়ে এখনো জড়াতে চাননা। তাই আপাতত এখন যেহেতু তিনি চিকিৎসাধীন আছেন, সেহেতু এই দিনগুলোতে বিএনপি নেতাদের সাথে কথা না বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর বিএনপি নেতৃবৃন্দ বেগম খালেদা জিয়ার এই সিদ্ধান্তে হতাশ হয়ে পড়েছেন এবং তাঁরা মোটামুটি কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় আছেন।

কারণ তাঁরা জানেন না যে, এখন তাঁদের কি করতে হবে। বিশেষ করে করোনা উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিএনপির করণীয় এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের জন্য ভবিষ্যতে কোন দিকনির্দেশনা বা রাজনীতির গতি প্রকৃতি কি হবে- এসব নিয়ে পুরো অন্ধকারেই আছে বিএনপি।

আর এই পরিস্থিতি বিএনপি জন্য একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি বলে মনে করছেন অনেক নেতারা। কারণ তাঁদের নেতা জেল থেকে বের হয়ে তাঁদের সাথেই কথা বলছেন না- এর চেয়ে দুর্ভাগ্যজনক আর কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির দু’একজন নেতা। 

সূত্র: বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin