জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেলবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। মামলায় হাজিরা দিতে গত কয়কদিন ধরেই নিয়মিত আদালতে যাচ্ছেন বিএনপি চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়া। আর তিনি আদালতে যাওয়ার পরপরই সেখানে জড়ো হচ্ছেন বিএনপির হাজারখানেক নেতাকর্মী।
বেগম জিয়া যখনই আদালত ছাড়ছেন তাঁকে অনুসরণ করে সড়কে আসছেন এই নেতাকর্মীরা। কখনো কখনো তাঁরা হয়ে উঠেছেন সহিংস। বিএনপির নেতাকর্মীদের এই কার্যক্রম নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা।
এরই মধ্যে একাধিক বার বেগম জিয়ার আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পরপরই পুলিশসহ আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বিএনপির এসব নেতাকর্মী।
গোয়োন্দারা জানতে পেরেছেন, নেতাকর্মীদের এমন কার্যক্রমের মাধ্যমে সহিংস গেরিলা হামলার ড্রেস রিহার্সেল দিচ্ছে বিএনপি।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র মতে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট এবং জিয়া চ্যারিটেলবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়া দণ্ডিত হলে বা তাঁর কারাদণ্ড হলেই সহিংস আন্দোলনে যেতে পারে বিএনপি।
তবে এক্ষেত্রে আইন-শৃঙ্খলা বক্ষাকারী বাহিনীও তৎপর থাকবে। তাই বিএনপির এমন সহিংস আন্দোলন হবে গেরিলা কায়দায়। হঠাৎ কোনো স্পটে বিএনপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে হামলা ও নাশকতা চালিয়ে আবার দ্রুত স্থান ত্যাগ করবে।
বেগম জিয়ার আদালতে হাজিরা দিতে আসার পর নেতাকর্মীদের হঠাৎ উপস্থিতি এবং বাড়ি ফেরা সময় সহিংস হয়ে ওঠা ওই পরিকল্পনারই ড্রেস রিহার্সেল বলে মনে করেন গোয়েন্দারা।
বাংলা ইনসাইডার