রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির করা অভিযোগ সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে এবং ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, এটা ভোটারদের কোন অভিযোগ নয়, আমার মনে হয় এটা সঠিক নয়, আমরা ভোটারদের কাছ থেকে তথ্য নিয়েছি, স্থানীয় তথ্য নিয়েছি, কোথাও এমন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। উনাদের অভিযোগ মনে সঠিক নয়।
এর আগে রংপুর সিটি নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) এ কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত।
বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি এ কথা বলেন। বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন রংপুর বিভাগীয় কমিশনার মো. হাসান আহমেদ। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ, রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার রংপুর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মিনু শীল, ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, রংপুর জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান, পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানসহ র্যাব, বিজিবি, আনসার বাহিনীর ঊর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। মতবিনিময়ে উপস্থিত ছিলেন।
নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের দিন থেকেই বিএনপি মনোনীত প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা, সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না অভিযোগ করে নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের দাবি জানান।
নূরুল হুদা বলেন, এখন ২২ ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। কাল থেকে ৩৩ জনের নেতৃত্বে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে। এখন থেকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। টাকা ছড়ানোর বিষয়টি নজরে এলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে যা প্রয়োজন সেটাই করা হবে। নির্বাচনে বিজিবি, পুলিশ, র্যাব ও আনসার সদস্যদের নিয়ে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, একটি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে। এটা নির্ভর করছে স্থানীয় জনগণের চাহিদার ওপর। ভোটাররা চাইলে ইভিএম ব্যবহার হবে, নইলে নয়।
বেলা সাড়ে তিনটায় সিটি নির্বাচনের মেয়র, সাধারণ কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার
rtnn