বিএনপিকর্মীদের ধরে প্রথমে পায়ে, পরে বুকে গুলি করুন

১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিএনপি কর্মীদের ধরে প্রকাশ্যে পায়ে এরপর প্রয়োজনে বুকে গুলি করার পরামর্শ দিয়েছেন জোটের শরিক জাসদের কার্যকরী সভাপতি মাঈনুদ্দীন খান বাদল।

তিনি বলেন, ‘গত নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ না করে নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। বিএনপি একটি টেরোরিস্ট সংগঠন (সন্ত্রাসী দল)। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী প্রথমে তাদের লাঠি দিয়ে মোকাবেলা করবে। পরে পায়ে গুলি করবে।
পায়ে গুলিতে কাজ না হলে পরিস্থিতি বুঝে বুকে গুলি করবে।’

ধানম-ির আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে ১৪ দলের বৈঠক শেষে আনুষ্ঠানিক ব্রিফিংয়ে তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি এ আহ্বান জানান।

মাঈনুদ্দীন খান বাদল বলেন, ‘আমরা তো খালেদার কাছ থেকে রাজনৈতিক বিরোধিতা চাই। বেগম জিয়ার উচিত ছিল কিছু বই পড়া।’
তিনি বলেন, ‘কিছু বিজ্ঞ লোক বলেন, দেশ না-কি অসহনীয় অবস্থায় আছে। কই অসহনীয় অবস্থা। ১ তারিখে কি অবস্থা ছিল, ৩ তারিখে কি অবস্থা ছিল, ৫ তারিখে কি অবস্থা ছিল। এখন তো স্বাভাবিক।’

তবে জাসদ নেতার এমন বক্তব্যে চরম অসন্তোষ ও বিরক্তি প্রকাশ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে থাকা আওয়ামী লীগ ও শরিক দলের একাধিক নেতা।
আওয়ামী লীগের এক শীর্ষ নেতা বলেন, ‘এ ধরনের দু-একজন নেতাই জোট ডোবানোর জন্য যথেষ্ট। এরা যে আসলেই কি চায়, তা আমরাও বুঝি না। একসময় গণবাহিনী ছিল তো, এর ঝাঁজ এখনো যায়নি।’

সন্ত্রাসীদের ধরার আহ্বান সংসদীয় স্থায়ী কমিটির

এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্যরা বলেছেন, হরতাল-অবরোধের নামে বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করছে সন্ত্রাসীরা। গণমাধ্যমে সেই ছবি প্রকাশিত হচ্ছে। গণমাধ্যম খবর পেলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কেন এই সন্ত্রাসী তৎপরতার খবর পাবে না? তাই কমিটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে সন্ত্রাসী চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান গ্রহণের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটিতে টিপু মুন্সির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটি সদস্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু, ওমর ফারুক চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ফখরুল ইমাম ও কামরুন নাহার চৌধুরী এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে কমিটির সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পদক্ষেপের কথা জানতে চান। এক পর্যায়ে কমিটির সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে বিএনপি-জামায়াতের নামে সন্ত্রাসীরা কিভাবে নাশকতা চালাচ্ছে তা নিয়েও প্রশ্ন উত্থাপন করেন। পুলিশ ও র‌্যাবের পক্ষ থেকে গৃহীত পদক্ষেপর কথা তুলে ধরা হলেও তাতে পুরোপুরি সন্তুষ্ট হতে পারেননি কমিটির সদস্যরা। তারা প্রয়োজনে সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করার পরামর্শ দেন। সদস্যদের বক্তব্য, যদি কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতার ছবি তোলা যায়, তাহলে তাদের প্রতিহতও করা সম্ভব। তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ও নাশকতা রোধ এবং জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্ম তৎপরতা বৃদ্ধির পরামর্শ দেন। এজন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর জনবল বৃদ্ধি, প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও যানবাহন ক্রয়ের সুপারিশ করা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি টিপু মুন্সি সাংবাদিকদের বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনাকালে হরতাল অবরোধ মোকাবেলায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে কঠোর হস্তে সন্ত্রাসীদের দমন করতে বলা হয়েছে।

কমিটির সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরী বলেন, দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাসী কর্মকা- চালাচ্ছে। ভোরবেলায় গুটি কয়েক লোক একটি ব্যানার নিয়ে গাড়ি ভাংচুর ও অগি্নসংযোগ করছে। আন্দোলনের নামে তারা মানুষ হত্যা করছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওফুটেজ দেখে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।

দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাংচুর ও অগি্নসংযোগের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন আখ্যায়িত করে কমিটির আরেক সদস্য শামসুল হক টুকু বলেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যা যা করা দরকার তাই করবে। এতে এক বিন্দুও কুণ্ঠাবোধ করবে না। সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে সেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

jaijaidinbd

বিঃদ্রঃ খবর টা প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৫ সালের ১৪ জানুয়ারিতে যায়যায় দিনে নিউজ পত্রিকাতে। বিএনপি ঠিকি এখনো টিকে আছে কিন্তু এই দালাল গুলো এখন কোথায়?

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin