রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ধানের শীষ প্রতীকের কাওছার জামান বাবলা অভিযোগ করে বলেছেন, জাতীয় পার্টির মন্ত্রীর সাথে তাদের প্রার্থীর প্রচারণায় অংশ নেয়া এবং আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে দুই ঘন্টার মধ্যে রংপুর ছাড়ার আল্টিমেটাম দেয়ার ঘটনা জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগের সাজানো নাটক। তারা এভাবে একদিকে নাটক করছে অন্যদিকে আচরণবিধি লংঘনের মহড়া মঞ্চস্থ করছে।
তিনি শনিবার বেলা সোয়া একটায় রংপুর মহানগরীর গ্রান্ড হোটেল মোড়স্থ নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়ের সামনে নয়া দিগন্তকে তিনি একথা বলেন। বাবলা বলেন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা একজন মন্ত্রীকে প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কালী বানানো হচ্ছে। তিনি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে লাঙ্গলের প্রার্থীকে নিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
তার বিরুদ্ধে আবার নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের মহানগর সেক্রেটারী তুষার কান্তি মন্ডলের নেতৃত্বে নির্বাচন অফিস ঘেরাও করে তাকে রংপুর থেকে চলে যাওয়ার দুই ঘটনার আল্টিমেটাম দেয়া হচ্ছে। আবার মন্ত্রী সাহেব রাতের বেলা সেই কাচারী বাজারে গিয়ে তার দলীয় লোকজন নিয়ে চা খাচ্ছেন। বিষয়টি আমার কাছে মনে হচ্ছে সাজানো নাটক।
নির্বাচন কমিশন দুই পক্ষকেই আচরণবিধি লঙ্ঘনের পারমিশন দিয়েছে প্রভাব বিস্তারের জন্য। শুধূ আমার বেলায় তারা কঠোর হচ্ছেন। একটার বেশি গাড়িই ব্যবহার করতে দিচ্ছেন না। এজন্যই আমি নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছি।
এ ব্যপারে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, আমরা কাউকেই ছাড় দিচ্ছি না। আচরণবিধি না মানলেই কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। মন্ত্রী প্রসঙ্গে তিনি বলেন বিষয়টি আমরা জানিয়ে দিয়েছি।
আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এখানে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১৯৩ টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১২২টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই ভোট। এবার এই সিটিতে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। যা গত বছরের চেয়ে ৩৬ হাজার বেশি। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৯৬ হাজার ৩৫৬ জন। মহিলা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৬৩৮ জন।
রংপুর সিটিতে ধানের শীষের বিজয়ের জন্য যুদ্ধ ঘোষণা করেছি : টুকু
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আহবায়ক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টুকু বলেছেন, শহীদ জিয়াউর রহমান যেমন কালুরঘাট বেতারকেন্দ্রে ঘোষণা দিয়ে যুদ্ধ শুরু করে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, ঠিক তেমনি রংপুর সিটি করপোরেশনে ধানের শীষ প্রতীকের বিজয়ের জন্য আমরা যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। এ বিজয়ের ধারাবহিকতায় অন্যান্য সকল নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আমরা দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা করবো।
শনিবার দুপুরে রংপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিএনপির পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে বিজয়ের শ্রদ্ধাঞ্জলি দেয়া শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এই কথা বলেন। এসময় তার সাথে বাবলার পক্ষে প্রচারণায় আসা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দসহ রংপুর জেলা, মহানগর বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
সুলতান মাহমুদ টুকু বলেন, ধানের শীষের বিজয় ছিনিয়ে নেয়ার জন্য মহাজোট নানামুখি ষড়যন্ত্র করছে। সব ষড়যন্ত্রকে রংপুরের মানুষ রুখে দিবে।
আগামী ২১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে এই ভোট। এখানে মেয়র পদে ৭ জন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৫ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন। ১৯৩ টি ভোট কেন্দ্রের ১ হাজার ১২২টি বুথে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই ভোট।
dailynayadiganta