কুমিল্লার চার উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কেন্দ্রে রাতেই ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তারা প্রকাশ্যে ভোট দিয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা, আটিয়াবাড়ি, ভোলাইন, তুগুরিয়া কেন্দ্রে প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের লোকজনকে বিএনপির এজেন্ট সাজিয়ে বসিয়ে রাখা হয়েছে। গণমাধ্যমের গাড়ি দেখে নিজেদের লোকজনকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। চাটিতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ৬নং বুথে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে ভোট দিতে দেখা যায়। এখানে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ব্যালট ভোটারদের দেওয়া হচ্ছে না।
এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বোরহান উদ্দিন ভুঁইয়া, বিএনপি প্রার্থী মাঈন উদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাস্টার মো. সাইফুল্লাহ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ নাসির উদ্দিন মামুন অভিযোগ করেন, প্রকাশ্যে ভোট দিচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর লোকজন। তাদের এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল ওহাবের ফোনে একাধিকবার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
চাটিতলা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ইকবাল বাহার জানান, জাল ভোট এবং অনিয়মের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জেলা নির্বাচন অফিসার মো. খোরশেদ আলম বলেন, ‘জাল ভোটের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এদিকে, বৃহস্পতিবার বিএনপি প্রার্থী মাঈন উদ্দিন,স্বতন্ত্র প্রার্থী মাস্টার মো. সাইফুল্লাহ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের প্রার্থী হাফেজ নাসির উদ্দিন মামুন নির্বাচন বয়কট করেছেন।
অন্যদিকে কুমিল্লার কেন্দ্রে কেন্দ্রে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ক্যাডারদেরকে অস্ত্র নিয়ে মহড়া ও অবস্থান নেয়ার সংবাদও পাওয়া গেছে।
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন ও শীর্ষনিউজ