mirza_fakhrul

দোষ চাপানো হচ্ছে আমাদের ওপর: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করে বলেছেন, ‘এই সরকারের আমলে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটছে। কিন্তু দোষ চাপানো হচ্ছে আমাদের ওপর।’

আজ সোমবার রংপুরের হরকলি ঠাকুরপাড়ায় অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘর পরিদর্শন করেন বিএনপির নেতা ফখরুল। পরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। বিএনপির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ১১ পরিবারকে ১০ হাজার করে টাকা, একটি শাড়ি, একটি লুঙ্গি, সংঘর্ষে নিহত হাবিবুর রহমানের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।

ফেসবুকে ধর্মীয় স্ট্যাটাসের জের ধরে ১০ নভেম্বর হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকটি বাড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কোতোয়ালি, গঙ্গাচড়া ও তারাগঞ্জ থানার পুলিশ গিয়ে শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছোড়ে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হন।

গতকাল রোববার ঠাকুরপাড়া গ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে দেখতে গিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক বিনষ্ট করতে অশুভ শক্তি বর্বরোচিত হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন।

কাদেরের এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আজ ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক কারণেই আমাদের সুনাম বিনষ্ট করার জন্য আমাদের ওপর দোষ চাপানো হয়েছে। পরে দেখা যায়, তাঁদেরই কিছু লোক এই আগুন দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে।’

বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, বছরের পর বছর ধরে হিন্দু-মুসলমানেরা পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। যেন একই বৃন্তে দুটি ফুল। কিন্তু এই সম্প্রীতিকে বারবার বিনষ্ট করছে একটি অপশক্তি। সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে না।

রাজনীতি, নির্বাচন ও ভোটের কারণে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেকটি ঘটনায় আমাদের জড়ানো হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, সত্য কথা বলায় প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। তিনিও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ। ষড়যন্ত্রের কারণে তাঁকে দেশ ছাড়তে হয়েছে।

বিএনপি নেতা ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর বিভাগের দায়িত্বে নিয়োজিত আসাদুল হাবিব, জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, রইচ আহমেদ, মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফ্ফার হোসেন প্রমুখ।

প্রথম-আলো

খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও আ.লীগের নির্বাচনি ছক

জিয়া অরফানেজ এবং জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার কার্যক্রম দ্রুত এগুচ্ছে কয়েক মাসের মধ্যেই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার সম্ভাব্য রায় ও পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু করেছে। মামলায় তার সাজা হলে বিএনপি’র গন্তব্য কী হতে পারে তা নিয়ে নানা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে।

ক্ষমতায় থেকে খালেদা জিয়ার এই রায়ের সুফল ভোগ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে আওয়ামী লীগ, তবে রায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গেলে দেশের মানুষ তা কিভাবে নেবে, তাতে কি লাভ-ক্ষতি হবে তার হিসাবও মেলাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতারা।

সম্প্রতি আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, ‘সর্বোচ্চ ছয় মাসের মধ্যে খালেদা জিয়ার মামলার রায় হবে। এর মধ্য দিয়েই দেশের ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণ হবে।’

আওয়ামী লীগের সিনিয়র এক নেতা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেছেন ‘দলের ভেতরে খালেদা জিয়ার ভবিষ্যৎ নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। মামলায় খালেদা জিয়ার পরিণতি কী হতে পারে, তার সাজা হলে বিএনপি এটাকে কিভাবে নেবে এসব ভাবা হচ্ছে। পরিণতি ইতিবাচক বা নেতিবাচক যাই হোক-এটার ওপর নির্ভর করছে ভবিষ্যৎ রাজনীতি। বিএনপি কি খালেদা জিয়ার সাজার দোহাই দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে? তার সাজা হলে ‘জনমত’ কী রকম হবে? জনগণ বিএনপিকে সহানুভূতি দেবে কিনা-এসবের চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে আওয়ামী লীগে।’

খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম বলেন, আদালত তার ভাগ্য নির্ধারণ করবে। তবে এটা নিশ্চিত, খালেদা জিয়ার সাজা হলে বিএনপি দুই/তিনভাগে বিভক্ত হবে। সকল ভাগই পৃথক পৃথকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও দলটির মুখপাত্র ড. হাছান মাহমুদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা হবে। তবে মামলার রায়ের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আমরা সতর্ক থাকবো।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলা পরবর্তী রাজনীতি নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে। তবে মামলার রায় পরবর্তী পরিস্থিতিতে জনমত যাতে কোনোভাবেই বিএনপির পক্ষে না যায়, সেদিকেও লক্ষ্য রাখছে আওয়ামী লীগ।
rtnn

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin