ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচনে মেয়র পদে বিএনপিতে তাবিথ আউয়ালের জোর বেশি। যদিও যুক্তফ্রন্ট থেকে নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার পক্ষে বিএনপির সর্মথন আদায়ে জোর লবিং চলছে।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্র বলেছে, রাতের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সব বিষয় নিয়েই আলোচনা হবে।তবে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার স্নেহভাজন তাবিথ আউয়ালের প্রতি দলের দায়বদ্ধতা রয়ে গেছে বলে মনে করেন নেতারা।
২০১৫ সালের নির্বাচনের আগেই মাহমুদুর রহমান মান্না যখন মেয়র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন তখনই তার জন্য সর্মথন আদায়ে বিএনপিতে জোর লবি শুরু হয়েছিল।
পরবর্তীতে ভোট যুদ্ধের আগে মান্নার কারাবরণ, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর দমন নির্যাতন নেমে আসে। ভোটযুদ্ধে বিএনপি উত্তরে আব্দুল আউয়াল মিন্টুকে প্রার্থী করেছিল। মিন্টু তখন পলাতক আসামি। পলাতক অবস্থায় মনোনয়ন জমা দিলে তা বাতিল হয়ে যায়।
এক্ষেত্রে বিএনপি তার পুত্র তাবিথ আউয়ালকে মনোয়ন দিয়ে ভোটের ময়দানে নামে। দলের অনেক নেতারা তখন ছিলেন হয় জেলে নয় পলাতক। শামছুজ্জামান দুদু ও হাবিবুর রহমান হাবিবরাই ময়দানে ছিলেন তাকে নিয়ে। ভোট প্রচারণায় নেমে বাধার মুখে পড়েছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ভোটের পরিস্তিতি বিএনপির জন্য প্রতিকূল।
তবুও দলের নেতারা মনে করেন সেই সময় তাবিথ আউয়াল আনিসুল হকের মতো হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে চমক সৃষ্টি করেছিলেন। আনকোরা প্রার্থী হলেও ছিলেন বির্তকের উর্ধ্বে। প্রভাব ফেলেছিলেন তরুণদের মধ্যে। ভোটের দিন মধ্যাহ্নের আগেই দল নির্বাচন বর্জন করলেও তার প্রাপ্ত ভোট ছিল সম্মানজনক।
আনিসুল হকের মৃত্যুর পর মাহমুদুর রহমান মান্নার জন্য বিএনপিতে কেউ কেউ লবি করে সন্তোষজনক জবাব পাননি। এতে করে ভোটযুদ্ধ সামনে রেখে মান্নার নাগরিক ঐক্য বি চৌধুরীর নেতৃত্বে চারদলীয় যুক্তফ্রন্ট গঠন করেছে। যুক্তফ্রন্ট থেকে অনেকে চাইছেন মান্নার পক্ষেই বিএনপি জোটের সর্মথন। কিন্তু বিএনপি নেতৃত্ব মনে করে তাবিথ দুঃসময়ে প্রার্থী হয়েছিলেন।
ফলাফল দলের সেই কঠিন সময়ে খারাপ দেখাননি। এবার আনিসুল হকের মতো হেভিওয়েট প্রার্থী নেই আওয়ামী লীগের। জনমত সরকার বিরোধী রয়েছে। দলের অনেক নেতাকর্মী কারা মুক্ত। এই অবস্থায় তাবিথ আউয়ালকে নিয়েই মাঠে নামলে জয়ের সম্ভাবনা যেখানে রয়েছে সেখানে মান্নাকে কেন সর্মথন দিতে যাবে বিএনপি।
যারা মান্নার পক্ষে বিএনপির সর্মথন চান তারা মনে করেন মান্নাকে নিয়ে মাঠে নামলে পরিস্থিতি বিএনপির জন্য প্রতিকূল হয়ে উঠবে না। যোগ্যতার বিচারে মান্না যেমন এগিয়ে রয়েছেন তেমনি আওয়ামী লীগ-বিএনপির বাইরে ভোট শিকারে থাকবেন এগিয়ে। এই বিচারে তাকে দেয়া যায়। বিএনপি হাইকমান্ড সময় নেবেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্ধারণ দেখবেন। তবে এখনও তাবিথ আউয়ালের মনোভাব রয়েছে।
উৎসঃ পূর্বপশ্চিম