মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কাল মঙ্গলবার ঢাকায় স্বাধীনতা র্যালি করবে বিএনপি। বেলা দুইটায় নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই র্যালি শুরু হবে। শান্তিনগর মোড়ে গিয়ে র্যালি শেষ হবে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
র্যালির অনুমতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতার ভাষ্য, তাঁরা অনুমতি পেয়েছেন। মৌখিকভাবে র্যালির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় দলের শীর্ষ নেতারা আজ সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
বিকেলে নয়াপল্টনে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৩১ মার্চ রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে আলোচনা সভা করবে বিএনপি।
মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে মির্জা ফখরুলের বাণী
ঢাকা: আজ ২৬ মার্চ। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রাম।
দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বাণীতে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
রবিবার (২৫ মার্চ) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আমি দেশবাসী ও প্রবাসী বাংলাদেশীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। সেই সাথে আজকের এই মহান দিবসে আমি সশ্রদ্ধচিত্ত্বে স্মরণ করি স্বাধীনতার ঘোষক, মুক্তিযুদ্ধে জেড ফোর্সের অধিনায়ক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে-যার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে এদিনে গোটা জাতি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই সকল জাতীয় নেতার প্রতি, যারা দেশ ও জাতির জন্য অসামান্য অবদান রেখেছেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করার জন্য আজও দেশি-বিদেশী চক্রান্তকারীরা নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। বহুদলীয় গণতন্ত্রের যে যাত্রা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান শুরু করেছিলেন তাও আজকে বিনষ্ট করে গণতন্ত্রের নামে কর্তৃত্ববাদী অপশাসন চালু করা হয়েছে। কেউ যাতে মানুষের মৌলিক মানবিক অধিকার নিয়ে কথা না বলে, নাগরিক স্বাধীনতার জন্য আওয়াজ না তোলে সেজন্যই বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রাখা হয়েছে। বেগম জিয়াকে বন্দী করার অর্থ গণতন্ত্রকেই তালাবদ্ধ করে রাখা।
তিনি আরও বলেন, নতুন করে ফ্যাসিবাদের বিস্তার লাভ করেছে। তাই স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব সুরক্ষা ও গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক শক্তির এ মুহূর্তে গড়ে তুলতে হবে ইস্পাত কঠিন ঐক্য। আর এজন্যই বিপুল জনসমর্থিত নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে সাহসী সংগ্রামে অবতীর্ণ হতে হবে। তাই সকল ষড়যন্ত্র রুখে দিয়ে অপহৃত গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধার করতে হবে। একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে এই হোক আমাদের অঙ্গীকার।