গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাপা আয়োজিত জনসভায় দলের চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, জাপাকে বাদ দিয়ে আগামীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারবে না। এরশাদ ছাড়া, লাঙ্গল ছাড়া এ দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন আসতে পারে না।
দেশে অশান্তি, নৈরাজ্য জাপা পছন্দ করে না। দুর্নীতি, ধোঁকাবাজি দিয়ে দেশ চলতে পারে না। এর পরিবর্তন আনতে হবে। উপনির্বাচনে কেন্দ্রে ভোট গণনার আহ্বান জানান তিনি। জাপাকে ক্ষমতায় বসাতে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার বিকেল ৩টায় উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের আইন ও বিচার বিষয়ক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বক্তব্য দানকালে তিনি আরও বলেন, নয় বছর ক্ষমতায় ছিলাম, ছয় বছর সপরিবারে জেল খেটেছি, আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন ক্ষমতায় গিয়ে মানুষের সেবা করার জন্য।
তাই আপনাদের কাছে আমার আকুল আবেদন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য জাপাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। প্রাদেশিক সরকার ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ আসতে পারে না উল্লেখ করে তিনি প্রাদেশিক সরকার প্রবর্তনের জন্য হাসিনা সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
জনসভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাপা মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি, সাবেক মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা, রংপুর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সুন্দরগঞ্জ পৌর জাপা সভাপতি আব্দুর রশিদ সরকার ডাবলু প্রমুখ।
পরে জাপা চেয়ারম্যান সংসদের আগামী উপনির্বাচনে ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দেন এবং লাঙ্গল মার্কায় ভোট দিয়ে তাকে জয়যুক্ত করার আহ্বান জানান।
ঢাকা উত্তর সিটিতে একক প্রার্থী দেবে ২০ দলীয় জোট
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে একক প্রার্থী দেবে ২০ দলীয় জোট। গত রাতে জোটের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে গুলশান কার্যালয়ে এই বৈঠক রাত ৯টায় শুরু হয়ে ১১টায় শেষ হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে আলোচনার মূল বিষয় ছিল উত্তর সিটি নির্বাচন। এতে জোটগতভাবে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বৈঠক শেষে এক নেতা জানান, উত্তর সিটিতে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ েেত্র জামায়াতে ইসলামীর প থেকে বলা হয়েছে, ‘শিডিউল প্রকাশের আগে অনেকেই মনোনয়নপ্রত্যাশী হতে পারে। তবে জোট প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তিনি যে প্রার্থী মনোনয়ন দেবেন, তার পক্ষেই জোটের শরিক হিসেবে জামায়াতে ইসলামী থাকবে।’
বৈঠকে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে আলোচনা হয়। জোট নেতারা বলেছেন, বিএনপি প্রধানকে মাইনাস করে কোনো নির্বাচন হবে না। সে নির্বাচনে কেউ অংশ নেবে না।
বৈঠকে চলতি মাসে একটি আইনজীবী সমাবেশ ও আরেকটি আলেম-ওলামা সমাবেশ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদের সদস্য আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান,
খেলাফত মজলিসের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাশনাল পিপলস পার্টির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, জমিয়তে উলামা ইসলামের মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস, মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, বাংলাদেশ ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া,
সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্র্যাটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এনডিপি) মঞ্জুর হোসেন ঈসা ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
জোটের শরিক লেবার পার্টির মধ্যে নেতৃত্বের বিভক্তির কারণে তাদের কোনো প অর্থাৎ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান ও হামদুল্লাহ আল মেহেদির পকে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
সর্বশেষ গত ১৫ নভেম্বর ২০ দলীয় জোটের সাথে খালেদা জিয়ার বৈঠক হয়।
dailynayadiganta