জাতীয় ঐক্যে নিজেদের অংশগ্রহণ নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে বিএনপি। এজন্য ‘বড় ধরনের ছাড়’ দেয়ারও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা। তবে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর ‘নতুন ফর্মুলায়’ আশাহত হতে পারেন বিএনপি নেতারা।
জাতীয় ঐক্য নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য সমর্থন করে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে সমদূরত্বে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
শনিবার কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমরা ২০-৩০ দিনের জন্য শেখ হাসিনার পতন চাই না। অল্প দিনের জন্য শেখ হাসিনা কিংবা বর্তমান সরকারের পতন চাই না। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।
দলের বর্ধিত সভার পর এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হলে আমরা নির্বাচনে অংশ নেব। এছাড়া শেষ দিন পর্যন্ত জাতীয় ঐক্য চাইব।
ড. কামাল ও বি চৌধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগকে সমদূরত্বে রেখে জাতীয় ঐক্য গড়তে চাচ্ছি। আমাদের ঐক্য শুভ-অশুভ হতে পারে, তবে জাতির ক্ষতি করবে না।’
জাতীয় ঐক্য আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে হতে পারে না- আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের এমন কথা যথার্থ বলেও মনে করেন এক সময়কার এই প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা।
জাতীয় ঐক্যের সাথে সম্পৃক্ত একাধিক নেতার বক্তব্যের বিষয় সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘এখনো জাতীয় ঐক্য গঠন হয়নি। তাই কোনো সিদ্ধান্তও হয়নি। তারা যে বক্তব্য দিচ্ছেন, সেটা তাদের বক্তব্য।’
আর দড়ি টানাটানি যাই হোক কৃষক শ্রমিক জনতা লীগকে বাদ দিয়ে কিছু সম্ভব নয় বলেও দাবি করেন কাদের সিদ্দিকী।
বঙ্গবন্ধুভক্ত খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা বলেন, ‘আমি প্রতিজ্ঞা করে বলছি- বর্তমানে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে না।’
এছাড়া নির্বাচন নিয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই বক্তব্য তার দেয়ার এখতিয়ার নেই বলে মনে করেন কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন, এমনকি কোনো মন্ত্রী-এমপিরও এখতিয়ার নেই। এমন বক্তব্য শুধু নির্বাচন কমিশন দেবেন।
এসময় পার্টির মহাসচিব হাবিবুর রহমান তালুকদার বীর প্রতীক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল সিদ্দিকী প্রমুখ।