জাতির বিবেকরা নিখোঁজ কেন?

ধর্ষণের বিরুদ্ধে গোটা দেশ জেগেছে। সবাই চাইছে ধর্ষকদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি হোক মৃত্যুদণ্ড। বাংলাদেশে এধরণের ঘৃন্য ঘটনা বন্ধ হোক। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হয়েছে, ধর্ষক যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।

ধর্ষকদের রাজনৈতিক পরিচয় খোঁজা হবে না। তরুণ সমাজ ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবী করছে। প্রধানমন্ত্রীও এসংক্রান্ত আইন সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন আইনমন্ত্রীকে।

আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হক  বলেছেন ‘এটা যেহেতু গণদাবী, তাই সরকার বিষয়টি বিবেচনা করছে।’ পুরো দেশ যখন এই সামাজিক ব্যধি নিয়ে ভাবছে, কথাবলছে। কিন্তু এই সময়ে জাতির বিবেকরা নিশ্চুপ। তাদের কোন বক্তব্য নেই, কোন হিতোপদেশ নেই, কোন আহ্বান নেই। এসব জাতির বিবেকদের মধ্যে আছেন :-

ড: মুহাম্মদ ইউনূস:  

বাংলাদেশে একমাত্র নোবেল জয়ী। শান্তিতে নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবীদ অবশ্য বাংলাদেশ নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামান না। কেবল, যেসব ইস্যুতে সরকারকে ঘায়েল করা সহজ হয় সে সব ইস্যু গুলো নিয়েই তিনি সোচ্চার হন।

যেমন নিরাপদ সড়ক নিয়ে হঠাৎ তিনি সরব হয়েছিলেন। আবার গণজাগরণ মঞ্চ নিয়ে কোন কথা বলেননি ড: ইউনূস।ধর্ষণ ইস্যুতেও তার কোন বক্তব্য নেই। ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড নিয়েও তার কোন বক্তব্য নেই।

সুলতানা কামাল:

নারী নির্যাতন ইস্যুতে সব সময়ই সরব থাকতেন সুলতানা কামাল। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সুলতানা কামালকেও নীরব দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে এখন পর্যন্ততো তার কোন বক্তব্য পায়নি জাতি।


ড: দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য:

সুযোগ পেলেই সরকারকে সমালোচনায় এফোড় ওফোড় করেন ড:দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। সিপিডির এই নির্বাহী ফেলো যেকোন বিষয়ে গণমাধ্যমে জাতিকে জ্ঞান দেন। কিন্তু ধর্ষণের ইস্যুতে, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের দাবীর ব্যাপারে নীরব তিনি

ড. বদিউল আলম মজুমদার:

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজনের সভাপতি বদিউল আলম মজুমদার অবশ্য কথা বলেছেন। কিন্তু শিক্ষার্থী এবং তরুন সমাজের যে মূল দাবী, ধর্ষকেরজন্য সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড, সে সম্পর্কে একেবারে চুপচাপ তিনিও।

উল্লেখ্য যে, ইউরোপ সহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ‘মৃত্যুদন্ড’ বিরোধি।এইসব দেশ থেকে জাতির বিবেকদের জন্য নানা তহবিল এবং উপঢৌকন আসে। তাই মৃত্যুদন্ডের পক্ষে অবস্থান নিলে তাদের কষ্টার্জিত বৈদেশিক মূদ্রা আহরনের পথ বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ভয়েই সম্ভবত তরুণদের দাবীর সংগে একাত্ম নন জাতির বিবেকরা।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin