চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী রোববার রাত ৮টার দিকে নগরীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন।
মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মোহাম্মদ আলী হার্টের জটিলতায় ভুগছিলেন। রোববার সন্ধ্যার দিকে তীব্র অসুস্থতাবোধ করলে তাকে ন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাত ৮টার দিকে সেখানেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুকালে মোহাম্মদ আলীর বয়স হয়েছিল ৫০ বছর। তিনি স্ত্রী, দুই কন্যা ও একপুত্রসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলায়।
মোহাম্মদ আলীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, আজ সোমবার বাদ জহর চট্টগ্রামের জমিয়াতুল ফালাহ জামে মসজিদে তার নামাজে জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখানে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
দেশে আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেখতে চাই না: নির্বাচন কমিশনার
নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেছেন, বাংলাদেশে আর প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন দেখতে চাই না। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা আইন প্রয়োগ করা যায় না। এ ব্যাপারে প্রার্থী-ভোটার সবার দায়িত্ব রয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যারা আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে তাদেরকে জবাবদিহিতার ব্যবস্থা করা হবে।
রবিবার বিকেলে বোদা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার সাধারণ নির্বাচন উপলক্ষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপ সচিব (আইন) মতিয়ার রহমান, জেলা প্রশাসক অমল কৃষ্ণ মন্ডল, জেলা পুলিশ সুপার গিয়াস উদ্দিন আহমদ, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম।
প্রার্থীদের এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম বলেন, কালো টাকা ও পেশি শক্তির অপব্যবহারের অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ১৭ বছর পর অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে আপনারা উৎসব হিসেবে গ্রহণ করেন।
এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন নির্বাচন কমিশনার বেগম কবিতা খানম। পরে তিনি সুষ্ঠুভাবে বোদা পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ওয়াহিদুজ্জামান সুজা, ধানের শীষ প্রতীকের মেয়র প্রার্থী হকিকুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী আকতার হোসেন হাসান, কাউন্সিলর প্রার্থী আফসার হোসেন, শাহজাহান আলম, আবুল কালাম আজাদ কথা বলেন।
রসিক নির্বাচন সুষ্ঠু হবে: নির্বাচন কমিশনার
নারায়ণগঞ্জ: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে. এম. নুরুল হুদা।
রবিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠান উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা।
সিইসি কে. এম. নুরুল হুদা বলেন, ‘আমরা প্রস্তুত। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে, গণতান্ত্রিক হবে।
সিইসি আরো বলেন, দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচন, ৪০৭টি স্থানীয় পর্যায়ে এবং দুটি জাতীয় পর্যায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সব নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। সে নির্বাচন নিয়ে কোনো সন্দেহ বা প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়নি। তাই রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন প্রতিযোগিতামূলক, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, বাংলাদেশে নয় কোটির বেশি মানুষ স্মার্টকার্ড পাবেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সবার হাতে এই কার্ড পৌঁছে দেওয়া হবে।
আর নারায়ণগঞ্জে নয় লাখ ৩২ হাজার ৯১২ জনকে স্মার্টকার্ড দেওয়া বলে জানান জানান কে. এম. নুরুল হুদা। তিনি জানান, স্মার্টকার্ডের মাধ্যমে নাগরিকরা ২৬ থেকে ২৭টি রাষ্ট্রীয় সেবা পাবেন।
নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে স্মার্টকার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জে প্রথম স্মার্টকার্ড গ্রহণ করেন সাবেক সচিব আকরাম আলী মৃধা। এরপর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক শিরিন আক্তার, নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান মাসুম স্মার্টকার্ড গ্রহণ করেন।
ঢাকা অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা রকিব উদ্দিন মণ্ডলের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, জেলা প্রশাসক রাব্বী মিয়া, পুলিশ সুপার মঈনুল হক, র্যাব-১১-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল কামরুল হাসান ও জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম প্রমুখ।