জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পেলেও পরিবারের সদস্যরা কারাগারে গিয়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বড় বোন সেলিমা ইসলাম।
খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন, তার শরীরে ব্যথাও রয়েছে। আর এ কারণেই স্বজনরা কারাগারে গেলেও তিনি দেখা করতে পারেননি।
শনিবার বিকেলে কারাগার থেকে বেরিয়ে এসে গণমাধ্যমের কাছে এ কথা বলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বড় বোন সেলিমা ইসলাম। বিকেল সাড়ে পৌনে ৫টার দিকে তারা কারাগার এলাকায় প্রবেশ করেন। কিছু আনুষ্ঠানিকতা শেষে ৫টার দিকে তারা কারাগারে প্রবেশ করেন। বিকেল ৬টার দিকে সবাই কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন।
কারা কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পরিবারের পাঁচ সদস্য পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। এর মধ্যে সেলিমা ইসলাম, তার স্বামী রফিকুল ইসলাম, তারেক রহমানের স্ত্রীর বোন ছিলেন।
বাইরে অপেক্ষমাণ সাংবাদিকদের কাছে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘খালেদা জিয়া জ্বরে ভুগছেন। তার শরীরেও ব্যথা রয়েছে। এ কারণে তিনি দোতলা থেকে নেমে নীচতলায় আসতে পারেননি। তাই আমরা কারাগারে গেলেও তার সঙ্গে দেখা হয়নি।’
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার করছেন খালেদা জিয়া।