‘খালেদা জিয়াকে ছাড়া নির্বাচনে যাবে না বিএনপি। সহায়ক সরকার না করে শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান রেখে একতরফা নির্বাচনের চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শুক্রবার বিকেলে ফেনীতে সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম সৈয়দ মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন তিনি। এসময় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মরহুম সৈয়দ মিজানুর রহমানের কবর জিয়ারত শেষে বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের সদস্যদের খোঁজ খবর নেন রিজভী।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘নেত্রীকে হয়রানি করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখবেন সেটা শেখ হাসিনা পারবেন না। সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, বাংলাদেশের গণমানুষের নেত্রী, জাতীয়বাদী শক্তির প্রতিক, তাকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা দেশে কোনো নির্বাচন করতে পারবেন না।’
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া বাংলাদেশের মানুষের নেত্রী। তিনি জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক। তাকে বাদ দিয়ে শেখ হাসিনা কোনও নির্বাচন বাংলাদেশে করতে পারবেন না ।
রিজভী আরও বলেন , ‘সরকার চাইছে একতরফা নির্বাচন করতে। কিন্তু বিএনপি গণভিত্তিক দল। জনগণকে নিয়েই বিএনপি নির্বাচন করবে। তাকে নির্বাচন থেকে বিচ্যুতি সরকার করতে পারবে না।’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বলেন বলেন , ‘শেখ হাসিনার অধীনে নয়, একটি সহায়ক সরকারের অধীনে বিএনপি নির্বাচনে যাবেই।’
তিনি আরো বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা দেয়া হয়েছে তার মধ্যে নূন্যতমও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ঘনিষ্ঠতা নেই, সম্পর্ক নেই। জাল নথি, অসত্য তথ্য বানোয়াট বিভিন্ন অভিযোগ দায়ের করে হয়েছে তা হয়রানি করার জন্য।’
বিএনপি এই নেতা বলেন, ‘আমি মনে করি দেশের মানুষ হচ্ছে সবচেয়ে বড় বিচারের দায়িত্বে, তারাই হচ্ছে বড় শক্তি। সে শক্তির সামনে সরকারের অশুভ কোনো ইচ্ছা পূরণ সম্ভব হবে না। জনগণই সকল ক্ষমতার উৎস।’
এসময় কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা বেলাল আহমেদ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন মিস্টার, বিএনপি নেতা আলাল উদ্দিন আলাল, ফজলুর রহমান বকুল, আবদুল খালেক, যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন খোন্দকার, ছাত্রদল নেতা আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির, এস. এম কায়সার এলিন, মহিলা দল নেত্রী জাহানারা বেগমসহ বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।