khaleda_zia_adalat

খালেদার রায় : গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেবে আওয়ামী লীগ

৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে রাজধানীর প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নেয়ার পরিকল্পনা করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মহানগর আওয়ামী লীগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সতর্ক দৃষ্টি রাখবে। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেবে। এছাড়া কেন্দ্রের নির্দেশ অনুযায়ী মহানগর নেতাদের দিক নির্দেশনা দিতে রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) বর্ধিত সভা ডেকেছে ঢাকা মহানগর উত্তর। ওইদিনই নেতাকর্মীদের চূড়ান্ত নির্দেশনা দেয়া হবে।

 এদিকে রায়ের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমেই ততই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। এরই মধ্যে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপি কর্মীদের ধরপাকড় চলছে। জড়িতদের ধরতে শুরু হয়েছে পুলিশি অভিযান।সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের পাশাপাশি যুবলীগও প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ ১০০টি ইউনিট কমিটি গঠন করেছে। প্রতিটি ওয়ার্ডে তারা কাজও শুরু করেছে। পাশাপাশি শরিকদের এ প্রক্রিয়ায় একিভূত করতে ও মতামত নিতে সোমবার ১৪ দলের বৈঠক ডাকা হয়েছে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ৮ ফেব্রুয়ারি সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক থাকবে। বিএনপি যেভাবে পুলিশের ওপর জঙ্গিদের মতো হামলা করেছে, তাতে উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণ আছে। তারা হয়তো খালেদার রায়কে কেন্দ্র করে জনগণের জানমালের ক্ষতি করতে চাইবে। কোনো সহিংসতা করতে চাইলে কঠোরহস্তে দমন করা হবে।

৮ ফেব্রুয়ারির বিষয়ে আওয়ামী লীগের মুখপাত্র, দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ জাগো নিউজকে বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে বিএনপি।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যখন শান্তি-শৃঙ্খলা আর উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে চলেছে তখনই দেশকে অস্থিতিশীল করতে তারা উঠেপড়ে লেগেছে।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের অরাজকতা প্রতিহত করতে প্রতিটি এলাকার আওয়ামী লীগ ও সাধারণ জনগণকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান জাগো নিউজকে বলেন, ৪ ফেব্রুয়ারি বর্ধিত সভা ডাকা হয়েছে। ওইদিনই নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেয়া হবে। প্রতিটি এলাকায় সতর্কভাবে অবস্থান নিতে বলা হবে। অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ বলেন, রাজধানীতে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধ করতে প্রশাসনের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মীরা মাঠে থাকবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন এলাকায় মিটিং করে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এদিকে খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়ের দিন ঢাকায় বিএনপিকে বড় জমায়েত করতে দেবে না প্রশাসন। সেজন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হবে। কোনো জায়গায় অবস্থান নেয়ার প্রস্তুতি নিলেই পুলিশ তাদের বাধা দেবে। এছাড়া গণপরিবহনে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি এবং গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে বিএনপি নেতাদের এলাকা ছাড়ার কৌশল নেবে সরকার।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin