কথা বললেন না, মুচকি হাসলেন

দুপুর ১২টা ৪০ মিনিট। হঠাৎ করে কেবিন ব্লকের নীচতলার পুলিশ সদস্যরা তৎপর হয়ে ওঠেন। ভেতরে তাকাতেই দেখা যায় ক্রিমকালারের মধ্যে কালো প্রিন্টের জামদানি শাড়ি পরিহিতা বেগম খালেদা জিয়া হেঁটে আসছেন। তার হাত ধরে আছেন দু’জন মহিলা কারারক্ষী। সঙ্গে বিএসএমএমইউ হাসপাতালের পরিচালকসহ একাধিক ডাক্তার-নার্স।

এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসন স্বাভাবিকভাবেই হেঁটে আসছিলেন। বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পড়েন। পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তার স্বার্থে ধাক্কা দিয়ে সবাইকে সরিয়ে দিচ্ছিলেন। তখন কেউ একজন কেমন আছেন প্রশ্ন করলে তিনি (খালেদা জিয়া)কিছু না বলে মুচকি হেসে সামনে এগিয়ে যান।

এর আগে খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, ‘ম্যাডামের সঙ্গে দেখা হয়েছে, তবে কথা হয়নি’। …

উল্লেখ্য চারজন ডাক্তারের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে শনিবার বিএসএমএমইউতে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। দুপুর ১টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় খালেদা জিয়ার এক্সরে চলছিল।
jagonews24

খালেদার দেখা পেলেন না পুত্রবধূ-নাতনি

কারাগার থেকে হাসপাতালে নেয়া বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) গেলেও খালেদার দেখা পাননি তার ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি।

শনিবার সকালে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে আনার আগেই বঙ্গবন্ধু হাসপাতালে দুই মেয়েকে নিয়ে আসেন শর্মিলা। তবে পুলিশের অনুমতি না মেলায় শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে পারেননি তিনি।

জানা গেছে, পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন সড়কের কারাগার থেকে সাড়ে ১১টার দিকে বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনা হয় খালেদা জিয়াকে। তার আগে শাশুড়ির সঙ্গে দেখা করতে দুই মেয়েকে নিয়ে সেখানে উপস্থিত হন শর্মিলা। গাড়ি থেকে নেমে কেবিন ব্লকে ঢুকতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এরপর হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গাড়ির ভেতরেই কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেন তারা।

তখন তাদের ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা জটলা তৈরি হলে স্লোগান দিতে থাকলে পুলিশ বেশ কয়েকজনকে আটক করে। পরে হাসপাতালের পরিচালকের কক্ষে সন্তানদের নিয়ে প্রবেশ করেন কোকোর স্ত্রী।

এ সময় সেখানে উপস্থিত খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন ও সানাউল্লাহ মিয়া দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেন, খালেদা জিয়া যখন হাসপাতাল থেকে বের হবেন তখন তাদের যেন সাক্ষাৎ করার সুযোগ দেয়া হয়। তখন দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, খালেদার সঙ্গে দেখা করতে গেলে অনুমতি লাগবে। কারা অধিদপ্তরের নির্দেশের বাহিরে তাদের কিছু করার নেই। পরে স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে খালেদা জিয়া কারাগারে উদ্দেশে রওনা হলেও তার সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি শর্মিলা।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া রায়ে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। রায় ঘোষণার পর থেকে বিএনপি প্রধানকে কারাগারে নেয়া হয়।

ঢাকাটাইমস

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin