দুই দলেরই পয়েন্ট সমান। কিন্তু পয়েন্ট টেবিলে ঢাকা ডাইনামাইটস রয়েছে দ্বিতীয়তে আর খুলনা টাইটান্সের অবস্থান চারে। ঢাকার উপরে থাকার জন্য বড় অবদান রয়েছে খুলনারই। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সিলেট পর্বের দেখায় ঢাকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল খুলনা। সেই ব্যবধানই রান রেটে এগিয়ে আছে ঢাকা।
ঢাকায় দ্বিতীয় বারের মতো মুখোমুখি হতে যাচ্ছে দল দুটি। প্রথমবারের দেখায় ঢাকা খুলনার বিপক্ষে করেছিল ২০২ রান। যার বিপরীতে খুলনার সংগ্রহ ছিল মাত্র ১৩৭। ফলে ঢাকা জয় পায় ৬৫ রানের বড় ব্যবধানে। অবশ্য খুলনার আগে সিলেটের কাছে ৯ উইকেটের লজ্জার হার উপহার পায় ঢাকা।
সিলেটের ঘরের মাঠে হারলেও, ঢাকায় ফিরেই রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন ঢাকা। মাত্র ১০১ রানেই অলআউট করে দেয় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা সিলেট সিক্সার্সকে। শহিদ আফ্রিদিময় ম্যাচটিতে ঢাকা জয় পায় ৮ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। ৭৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় দলটি। ফলে এ ম্যাচ থেকেও রান রেট বাড়িয়ে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ঢাকা।
এদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ঢাকার কাছে শোচনীয়ভাবে হারের পর টান তিন ম্যাচ জিতে উড়তে থাকা সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষেই ঘুরে দাঁড়ায় খুলনা টাইটান্স। সিলেট সিক্সার্সের বিপক্ষে ছয় উইকেটের বিশাল জয় পায় দলটি।
সিলেটের সঙ্গে শেষ ম্যাচের আত্মবিশ্বাসটি ধরে রেখে ঢাকা পর্বে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে মাঠে নামে খুলনা। আরিফুল-ব্র্যাথওয়েটের ব্যাটিংয়ের পর আবু জায়েদে রাহীর দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮ রানের জয় পায় খুলনা। এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে আসে দলটি।
আগামীকালের (মঙ্গলবার) ম্যাচে নামার আগে দু’দলই প্রেরণা খুঁজবে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের জয় থেকে। তবে ঢাকা একটু এগিয়েই থাকবে খুলনা থেকে। ঢাকার জন্য বড় প্রেরণা হতে পারে সিলেট পর্বে খুলনার বিপক্ষে বড় জয় আর শেষ ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে চালানো বোলিং আর ব্যাটিং তাণ্ডব। এছাড়াও ঢাকার জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা হবে ঘরের মাঠের দর্শক। তবে যাই হোক, শেষ পর্যন্ত আসল ফলটা হবে খেলার মাঠে। তবে জয়ের বিকল্প ভাবছে না কোন দলই।
ভাইকিংসদের প্রতিশোধ, কুমিল্লায় এগিয়ে যাওয়ার ম্যাচ আজ
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) প্রথম পর্বের পঞ্চম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল চিটাগং ভাইকিংস এবং কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। ওই ম্যাচে তুলনামূলক দুর্বল চিটাগংকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
ঢাকা পর্বে আগামীকাল (মঙ্গলবার) দ্বিতীয় ম্যাচে আবার মুখোমুখি হচ্ছে দল দুটি। দ্বিতীয় বারের মুখোমুখিতে শুধু পয়েন্ট নয়, মানসিক দিক থেকেও এগিয়ে থাকবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এ দুই দলের প্রথম দেখায় চিটাগং ভাইকিংস করেছিল ১৪৩ রান । যা ১২ বল হাতে থাকতে ২ উইকেট হারিয়েই টপকে যায় কুমিল্লা। তবে বিপিএলের এবারের আসরের শুরুটা ভালা ছিল না সাবেক চ্যাম্পিয়নদের। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে সিলেটের বিপক্ষে ৪ উইকেটে তারা হেরেছে ম্যাচটি।
তবে সিলেটের জন্য বড় প্রেরণা হতে পারে গতকাল (রোববার) রাজশাহীর বিপক্ষে অসাধারণ জয়ের ম্যাচটি। রাজশাহী কিংসকে মাত্র ১১৫ রানে থামিয়ে দেয় কুমিল্লার বোলাররা। ম্যাচটি ভিক্টোরিয়ান্সরা ২৯ বল হাতে রেখেই ৯ উইকেটে জিতে নেয়।
এদিকে চিটাগং ভাইকিংস এবার তেমন একটা শক্তিশালী দল গড়তে পারেনি। লিগটাও তাদের ভালো যাচ্ছে না। তিন ম্যাচে জয় পেয়েছে মাত্র একটিতে। দলটির ওপেনার লুক রনকি ছাড়া কোনো ব্যাটসম্যানই প্রতিপক্ষ বোলারদের সামনে দাঁড়াতে পারছে না। বিশেষভাবে, তাদের আইকন সৌম্য সরকার পুরোই ব্যর্থ। তবে চিটাগং এবং বাংলাদেশ দলের জন্য সুখবর, ফর্মে ফিরেছেন ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ। চিটাগংয়ের দলটি তাই জয় পরাজয়ের চেয়ে তাসকিন আর রনকির ওপর ভরসা করেই কাল মাঠে নামবে।
যদিও কুমিল্লা আগামীকাল চিটাগংয়ের বিপক্ষে জিতে এগিয়ে যেতে চায় সুপার ফোরের লড়াইয়ে। চিটাগংয়ের লক্ষ্য ভালো খেলে ম্যাচ জিতে নিজেদের টিকিয়ে রাখা।
সূত্র: জাগো নিউজ