প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আজ ৮২ তম জন্মদিন। জিয়ার জন্মদিন প্রসঙ্গে আলাপ-চারিতায় বিএনপি সমর্থক বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত, গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফর উল্লাহ চৌধুরি বলেছেন, ‘জিয়া যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে এই বিএনপি দেখে তিনি আত্মহত্যা করতেন। বর্তমানে বিএনপি জিয়ার দ্বিতীয় মৃত্যু ঘটিয়েছে। ’
বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে আলাপচারিতায় এই মুক্তিযোদ্ধা বলেছেন, ‘জিয়ার সবচেয়ে বড় শক্তি ছিল তৃণমূল। তিনি (জিয়া) প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে গেছেন, তাদের সঙ্গে মিশেছেন। কিন্তু এই বিএনপি শেকড়হীন। শহরে বসে বক্তৃতা এবং বিবৃতি দেওয়াই বিএনপির একমাত্র কাজ। তৃণমূলের সঙ্গে এই বিএনপির সম্পর্ক নেই।’
ডা. জাফর উল্লাহ মনে করেন ‘জিয়ার একটা ক্লিন ইমেজ ছিল। তিনি সৎ মানুষ হিসেবে আজও পরিচিত। কিন্তু সত্য হোক মিথ্যা হোক এই বিএনপির ক্লিন ইমেজ নেই। এই বিএনপি সাধারণ মানুষের কাছে একটি দুর্নীতিগ্রস্থ দল হিসেবেই পরিচিত।’ তাঁর মতে ‘তারেক জিয়ার ইমেজ এবং জিয়ার ইমেজ দুই মেরুতে।’
ডা. জাফর উল্লাহ অবশ্য মনে করেন, ‘তারেক জিয়ার ইমেজ নষ্টের জন্য একটি পরিকল্পিত ক্যাম্পেইন হয়েছে এবং সেটা সাকসেসফুল।’ ডা. জাফর উল্লাহ অবশ্য মনে করেন ‘জিয়ার অবর্তমানে বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক শক্তি। এটা আওয়ামী লীগ বিরোধীদের একমাত্র সংগঠন।’
কাশিমপুর কারাগারে ভিআইপি অতিথি কে আসছেন?
হঠাৎ করেই তোড়জোড় শুরু হয়েছে কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। গাজীপুরের কাশিমপুরের কারাগারে ঘন ঘন যাচ্ছেন জেল কর্তৃপক্ষের পদস্থরা। নারী ওয়ার্ডের একটি ভিআইপি কক্ষ বানানো হয়েছে। আলাদা বাথরুম, টাইলস লাগানো, কক্ষটি রং করার কাজ শেষ। বন্দী রাখার জন্য প্রস্তুত কারাকক্ষটিতে শেষ মুহূর্তের খুঁটিনাটি কাজ চলছে।
কাশিমপুর কারাগারে পুরুষ বন্দীদের জন্য কয়েকটি ভিআইপি কক্ষ থাকলেও নারী বন্দীদের জন্য আলাদা ভিআইপি কক্ষ ছিল না। এই কক্ষটি করা হয়েছে সম্পূর্ণ আলাদা করে। অন্যান্য নারী বন্দীরা এখানে চাইলেও আসতে পারবেন না। কক্ষের সামনে ছোট্ট বাগানও করা হয়েছে। বাগানের পাশে ছোট একটি রান্নাঘরও বানানো হয়েছে। এই কক্ষে যিনি থাকবেন তিনি অন্য কারাবন্দীদের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা হয়েই থাকবেন।
কার জন্য এই কক্ষ সাজানো হচ্ছে? এমন প্রশ্নের উত্তর এড়িয়ে যাচ্ছেন কারা কর্তৃপক্ষ। তবে কি ভিআইপি বন্দী হিসেবে এই কক্ষের অতিথি হচ্ছেন বেগম জিয়া?
উল্লেখ্য আগামী ২২, ২৩ ও ২৪ জানুয়ারি জিয়া অরফানেজ মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়েছে। এরমধ্যেই মামলার কার্যক্রম শেষ হবে। এরপর বিচারক মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য করবেন।
বাংলা ইনসাইডার