khaleda_05

ঈমানদারের সন্ধান খালেদা জিয়া পাবেন কি?

সংসদের বাইরে থাকার প্রধান রাজনৈতিক শক্তি বিএনপির ভ্যানগার্ড হিসাবে পরিচিত ছাত্রদলের নতুন নেতৃত্বে ঈমানদাররা আসবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

কিন্তু ছাত্রদলে কিভাবে ঈমানদার খোঁজা হবে সেটা তিনি পরিষ্কার করেননি। বিএনপি চেয়ারপারসনের এমনে ঘোষণার পর খোদ ছাত্রদলের মধ্যেই নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

ছাত্রদলের একটি সূত্র জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বিএনপির চেয়ারপারসন যে ঈমানদারদের দিয়ে নতুন করে ছাত্রদলের কমিটি করার কথা বলেছেন এমন একজন নেতাও খুঁজে পাওয়া যাবে না। কারণ ছাত্রদলের যারা নেতৃত্বে আছেন এবং যারা ভবিষ্যত নেতৃত্বের লড়াইয়ে রয়েছেন তাদের কারোরই ছাত্রত্ব নেই।

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি দিয়ে প্রায় দেড় বছর ধরে ছাত্রদল যেভাবে পরিচালিত হচ্ছে তাতে করে বিএনপির জন্য সংগঠনটি এখন বোঝায় পরিণত হয়েছে।

ছাত্রদলেরই এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অছাত্রদের দিয়ে ছাত্র রাজনীতি করালে সাংগঠনিকভাবে প্রধান প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তুলনায় অনেকটাই পিছিয়ে পরেছে। একই সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বিপর্যস্ত ছাত্রদলের অবস্থা করুণ। শুধু ফটোসেশন করেই ছাত্রদলের রাজনীতি শেষ করছেন।

ছাত্রদলের সর্বোচ্চ দুই নেতা পকেট কমিটি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিকও বনে গেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তাই ঈমানদারদের দিয়ে ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠনের যে কথা বলেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তাতে নিজেরাই সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তবে খালেদা জিয়া মঙ্গলবার ছাত্রদলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খল হবার নির্দেশ দিয়ে রাজনৈতিক মাঠ দখলের নির্দেশ দিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৪ অক্টোবর রাজীব আহসানকে সভাপতি ও আকরামুল হাসানকে সাধারণ সম্পাদক করে ১৫৩ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি গঠন করা হয়। পরবর্তীতে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে ৭৩৬ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়।

এদিকে সংগঠনটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটির মেয়াদ দুই বছর থাকলেও বর্তমান কমিটি ইতোমধ্যে তাদের মেয়াদাত্তীর্ণ করেছে। নতুন কমিটির দাবিতে বিভিন্ন সময় আন্দোলন হলেও নতুন কমিটি দেয়া হচ্ছে না রহস্যজনক কারণে। ফলে নতুন করে ঈমানদার খোঁজার যে পরিকল্পনা নিয়েছেন খালেদা জিয়া তা কতটুকু সফল হবে তা সময়ই বলে দেবে বলে মনে করেন সংগঠনটির অনেক নেতা-কর্মীরা।

পূর্বপ্চিম

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin