লালমনিরহাটে আ’লীগ-জাপার শতাধিক নেতাকর্মী বিএনপিতে যোগদান করেছেন। বড়বাড়ী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি থেকে শতাধিক নেতাকর্মী বৃহস্পতিবার রাতে আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপিতে যোগদান করেছেন।
উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়ন বিএনপি অফিস মাঠে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নুর ইসলাম নুরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু।
এ সময় দলে নবাগতদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন নের্তৃবৃন্দ।
যোগদান অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন, ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান হবি, প্রচার সম্পাদক এবিএম ফারুক সিদ্দিকী, সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ লেমন, অ্যাডভোকেট আঞ্জুমানআরা শাপলা, যোগদানকারী নেতা আব্দুল মান্নান প্রমুখ।
লালমনিরহাটে আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে এসএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান মিয়ার (৪৫) বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরী বর্তমানে হাতীবান্ধা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর প্রয়োজনীয় শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার ।
এ ঘটনায় সোমবার রাতে সিন্দুর্না ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে হাতীবান্ধায় থানায় মামলা করেছেন একাধিকবার ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরীর বাবা।
অভিযুক্ত নুরুজ্জামান মিয়া হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক। তিনি এলাকায় খুবই প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার সিন্দুর্না ইউনিয়নের বাসিন্দা ধর্ষণের শিকার কিশোরী এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে নুরুজ্জামানের প্রতিবেশী। তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করেন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান।
ধর্ষণের শিকার কিশোরী বলেন, গত বছরের ২১ নভেম্বর নুরুজ্জামান আমাকে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। সেখানে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে ধর্ষণ করা হয়। এরপর থেকে একাধিকবার আমাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। কিন্তু এখন বিয়ের জন্য চাপ দেয়ায় বিষয়টি অস্বীকার করছেন নুরুজ্জামান।
কিশোরীর বাবা বলেন, নুরুজ্জামান স্থানীয় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। তার কাছে আমরা অসহায়। এরপরও ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় হাতীবান্ধায় থানায় মামলা করেছি। এছাড়া আমাদের উপায়ও নাই বলে জানান ধর্ষণের শিকার কিশোরীর বাবা।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত নুরুজ্জামানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হাতীবান্ধা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হাসান সরদার বলেন, আসামি নুরুজ্জামানকে গ্রেফতারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।