বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী বলেছেন, এই মুহূর্তে বাংলাদেশের মানুষ মানবতাবিরোধী ভয়ংকর সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিবেশে বাস করছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই বিচারবহির্ভূত গুম, খুন, হত্যা, অপহরণ ও বন্দুকযুদ্ধের সংস্কৃতি চালু করে।
আজ শনিবার দুপুর ১২টায় রিজভী কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘আমরা ভয়াল এক দ্বীপের মধ্যে বসবাস করছি। তারা (আ. লীগ) ক্ষমতা নিষ্কণ্টক করতে, কেউ যেন বাধা হয়ে না দাঁড়ায় এ জন্য ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সাইফুল ইসলাম হিরু, হুমায়ুন কবির পারভেজসহ ত্যাগী নেতাদের গুম করেছে। বন্দুকযুদ্ধের নামে তারা মানুষ খুন করছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বৈধতার পক্ষে খোঁড়া যুক্তি দেখাচ্ছেন বলে দাবি করেন বিএনপির এই নেতা। তিনি বলেন, ভোটারবিহীন জনবিচ্ছিন্ন এ সরকারের কাছে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এমনকি সাধারণ মানুষ নিরাপদ নয়। তাদের লাঞ্ছনা ও নিষ্ঠুরতার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি আগামীকাল রোববার ঢাকা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাবে।
বর্তমান গণতন্ত্র পুলিশের অনুমতিতে নির্ভর করছে বলে আক্ষেপ করেন রিজভী। তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় বেগম রোকেয়া দিবস পালন করতে পারেনি বিএনপি। ভোটে নির্বাচিত না হওয়ায় বর্তমান সরকার জবাবদিহি নেই। তাই তারা হামলা-মামলা ও গ্রেপ্তারের রাজনীতি করছে।
prothom-alo
ধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব: খসরু
বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রসঙ্গে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘সেই বক্তব্যে গণতন্ত্রে লেশ মাত্র নেই। তার বক্তব্যে স্বৈরতান্ত্রিক মনোভাব ফুটে উঠেছে।
সেই বক্তব্যে উঠে এসেছে আগামী নির্বাচন হবে ক্ষমতা দখলের প্রক্রিয়া। কিন্তু আমি নিশ্চিতভাবে বলতে চাই- বাংলাদেশের মানুষের অধিকার ও ভোটাধিকার বার বার কেড়ে নিয়ে ক্ষমতা দখলের লড়াই আর সফল হবে না।
কেননা বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। এটা বুঝতে পেরেই আজকে আওয়ামী লীগ গুম, খুন হত্যার রাজনীতি বেছে নিয়েছে।’
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী যুবদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি রফিকুল আলম মজনুর মুক্তি দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
দেশে অন্যায়, অবিচার, গুম, খুন এবং মিথ্যা মামলার রাজত্ব চলছে মন্তব্য করে সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, ‘সরকার আগামীতে আবারও ক্ষমতা দখলের লড়াই করতে চায়। কিন্তু তাদের ক্ষমতা দখলের লড়াই আর সফল হবে না।’
আমির খসরু বলেন, ‘ক্ষমতাসীন অবৈধ সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাদের নির্ভরশীলতা পুরোপুরি রাষ্ট্রযন্ত্রের ওপর। জনগণের কাছে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা না থাকায় জনগণ তাদের সাথে নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সরকার গোটা দেশকে একটি জেলখানায় পরিণত করেছে। যার প্রমাণ আজকে যুবদলের নেতা রফিকুল আলম মজনুকে জেলে নেয়া হয়েছে। তাকে হয়তো ছোট জেলে নেয়া হয়েছে কিন্তু সমস্ত দেশকে জেলখানায় পরিণত করেছে সরকার। দেশের সাথে সমস্ত মানুষ বৃহত্তর জেলখানায় বসবাস করছে। তার কারণ সরকারের টিকে থাকার শেষ ভরসাস্থল হচ্ছে গুম, খুন, মিথ্যা মামলা ও জেলজুলুম।’
তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকার আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে গেছে। কারণ তারা জনগণের কাছে যেতে পারবে না। জনগণের কাছে তাদের কোনও গ্রহণযোগ্যতা নেই। সে কারণে বেগম খালেদা জিয়া এবং বিএনপির জনপ্রিয়তা সরকারকে আরও বেশি বেপরোয়া করে তুলেছে।’
ব্রেকিংনিউজ