২০০৫ সালে হলফনামায় বলা হয়েছে, স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে আনিসুল হকের মোট সম্পত্তি প্রায় সাড়ে ২৬ কোটি টাকার। এর মধ্যে নগদ অর্থ এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা। হলফনামায় আনিসুল হক জানান, তাঁর অস্থাবর সম্পত্তি ২৩ কোটি টাকার। এর মধ্যে নগদ অর্থ এক কোটি ৯৫ লাখ টাকা। এফডিআর (স্থায়ী আমানত) হিসেবে বিনিয়োগ রয়েছে তিন কোটি ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার টাকা।
বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার রয়েছে ১১ কোটি ৪৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা করা অর্থ ছয় লাখ ৫৮ হাজার টাকা। স্বর্ণ, মূল্যবান ধাতু ও অলংকার ১১ লাখ ১২ হাজার টাকা। ‘অন্যান্য (ঋণ প্রদান)’ হিসেবে পাঁচ কোটি ৩৬ লাখ ৮৩ হাজার টাকার অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে হলফনামায়। তাঁর আসবাব রয়েছে ১৪ লাখ ২৪ হাজার টাকার। আনিসুল হকের স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে সাড়ে তিন কোটি টাকার।
হলফনামায় তিনি ২২টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁর বার্ষিক আয় ৭৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এর মধ্যে ৪৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা আসে এফডিআরের মুনাফা থেকে, ব্যবসায় পারিতোষিক হিসেবে পান ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা, ‘বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া’ থেকে তাঁর বার্ষিক আয় দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা। বাকি আয় আসে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত এই প্রার্থীর স্থাবর সম্পদ (অকৃষি জমি) তিন কোটি ৫৭ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। স্ত্রীর আয় বেশি হলফনামা অনুযায়ী, আনিসুল হকের ‘ওপর নির্ভরশীল’ তাঁর স্ত্রী রুবানা হক ব্যবসার পারিতোষিক পান স্বামীর সমান। টাকার অঙ্কে যার পরিমাণ ২৫ লাখ ৯২ হাজার টাকা। রুবানা হকের বার্ষিক আয় ৮৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা, যা আনিসুল হকের চেয়ে প্রায় ৯ লাখ টাকা বেশি।
এফডিআর থেকে রুবানার আয় ৪০ লাখ ৪৪ হাজার টাকা, ব্যবসায় পারিতোষিক হিসেবে পান স্বামীর সমান, বাড়িভাড়া থেকে আয় ১৮ লাখ টাকা, বাকি আয় আসে শেয়ার সঞ্চয়পত্র থেকে। রুবানা হকের অস্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ পাঁচ কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে নগদ অর্থ ৩৩ লাখ ৫৬ হাজার টাকা।
এমটিনিউজ২৪