কালো পতাকা কর্মসূচিতে পুলিশের হামলা ও যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ দেড় শতাধিক নেতা কর্মীকে আটক করার প্রতিবাদে আজ সোমবার সারা দেশে বিক্ষোভ সমাবেশ করবে বিএনপি।
শনিবার সকালে পুলিশবেষ্টিত নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে দেড় শতাধিক নেতা কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। হামলায় ২৫০ নেতাকর্মীকে আহত হয়েছে। এই হামলার প্রতিবাদে আজ সারা দেশে জেলা ও মহানগরে বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে। ঢাকা মহানগরীতে থানায় থানায় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে কালো পতাকা কর্মসূচিতে অংশ নিতে শনিবার সকাল ১০টার দিকে কার্যালয়ের সামনে জড়ো হন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে কালো পতাকা প্রদর্শন শুরু হলে বাধা দেয় পুলিশ। এর এক পর্যায়ে লাঠিপেটা করে কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়। ব্যবহার করা হয় জলকামান। এতে অনেকেই আহত হন।
পরে কার্যালয়ের মধ্যে এক বৈঠক শেষে বের হলেই আটক করা হয় দলটির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুলসহ কয়েকজনকে।
হামলার বিষয়ে মতিঝিল জোনের ডিসি শিবলি নোমান বলেন, সমাবেশের জন্য বিএনপিকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। আদেশ ভঙ্গ করে তারা রাস্তার ওপর কর্মসূচি করছিল। এ কারণে তাদের আটক করা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপি গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অথবা নয়া পল্টনে জনসভার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু পুলিশ অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দেয় বিএনপি।
এর আগে বুধবার বিকালে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী ঘোষণা দিয়েছিলেন, বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে ২২ ফেব্রুয়ারি সমাবেশের অনুমতি না দেয়ার প্রতিবাদে ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীতে কালো পতাকা মিছিল করছে বিএনপি। তবে ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তা ‘কালো পতাকা প্রদর্শন’ এর ঘোষণা দিলো দলটি।
এব্যাপারে সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাড.রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা মনে করি কালো পতাকা মিছিলের চেয়ে কালো পতাকা প্রদর্শনের ব্যাপকতা বেশি। এতে সাধারণ মানুষ যে কোনও জায়গায় এটি প্রদর্শন করতে পারবে। এছাড়া মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়নে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।’
অনেকটা নমনীয় কর্মসূচি কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, আমরা মনে করি এর ব্যাপকতা বেশি। এই কর্মসূচিতে দলের নেতাকর্মীদের পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষ ও গণতন্ত্রকামী সংগঠনগুলোও অংশ নিতে পারবে।