গণতন্ত্র শুধু ব্যালট বাক্সে ভোট দেওয়া নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের আগে যা ঘটে, নির্বাচনের সময় ও নির্বাচনের পর যা হয়, তার সবকিছুই গণতন্ত্রের অংশ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে সবাই তার ফল মেনে নেবে।
নির্বাচনে স্বাধীন ও শান্তিপূর্ণভাবে সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেলে তার ফলে ভোটাররা বেশি আস্থাশীল হবে।’ মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বার্নিকাট বলেন, ‘একটা কার্যকর গণতন্ত্রে সব রাজনৈতিক দলের মুক্তভাবে কাজ করার সুযোগ থাকতে হবে। নাগরিকদের ভোটার হওয়ার স্বাধীনতা থাকতে হবে। কোনও ধরনের বাধা বা চাপমুক্ত থেকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে হবে। বাংলাদেশে গণতন্ত্রে সহিংসতার কোনও স্থান নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র রাজনৈতিক দল, তরুণ ও নারী নেত্রীর সঙ্গে অন্তর্ভুক্তিকরণ রাজনীতি নিয়ে কাজ করছে উল্লেখ করে বার্নিকাট বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে দৃঢ় করতে নারীদের নিরাপদ অংশগ্রহণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এখনও বেশ কয়েকজন নারী নেত্রী থাকার পরও রাজনৈতিক দলে ও নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ-প্রক্রিয়া পিছিয়ে রয়েছে।’
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনাল ‘অ্যাডভান্সিং উইমেনস লিডারশিপ ইন ইলেকশন’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকের আয়োজন করে। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ প্রমুখ।
উৎসঃ বাংলা ট্রিবিউন