tareq_rahman

৫৩ বছরে পা দিলেন তারেক রহমান

তেপ্পান্ন বছরে পা দিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার তার ৫৩তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, স্বেচ্ছায় রক্তদান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচ তলায় ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ড্যাব) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলাদল আলোচনার আয়োজন করেছে।

রোববার রাতে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মদিন পালনের জন্য এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়ার ও দলের সিনিয়র নেতা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক তারেক রহমানের ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে উন্নয়ন ও উৎপাদনের মধ্যে যুক্ত করলে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে-এই চিন্তার ধারক-বাহক ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তারেক রহমান সারাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘১/১১-তে মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের অসাংবিধানিক সরকার তারেক রহমানকে নি:শেষ করার জন্য মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ক্রমাগত অপবাদ দ্বারা জর্জরিত করে। ‘যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার তারা ক্ষমতায় এসেই তারেকের বিরুদ্ধে নানামূখী চক্রান্তে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। অসংখ্য মামলা দিয়ে তাকে পর্যুদস্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় আওয়ামী সরকার। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি।’

বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দী করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দু:সময়ে তারেক রহমানের নিঃশংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে।’ তারেক রহমানের আশু সুস্থতা এবং সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন ফখরুল।

এদিকে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এন. আর. সি) কর্তৃক আয়োজিত ‘জননেতা’ শিরোনামে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যোগ দেন।

১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তারেক রহমান । ২০০২ সালের ২২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত করেন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের পঞ্চম কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান।

উৎসঃ   পরিবর্তন

কেক কেটে তারেকের জন্মদিন পালন করলেন খালেদা

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৫৩ বছরে পা দিলেন। সোমবার জন্মদিনের প্রহর ১২টা ১মিনিটে কেক কাটেন তার মা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ১৯৬৫ সালের এই দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে রোববার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে ৫৩ পাউন্ডের কেক কাটেন। এর আগে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে প্রথমে বিএনপির পক্ষ থেকে পরে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ঢাকা মহানগর বিএনপি (উত্তর ও দক্ষিণ) ও মহিলা দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে আসা কেক কাটেন খালেদা জিয়া। গুলশান কার্যালয়ে ৮টি কেক কেটে তারেক রহমানের জন্মদিন উদযাপন করা হয় বলে জানান চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। এরপর লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন খালেদা জিয়া। তিনি ছেলেকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, নজরুল ইসলাম খান, ড. আব্দুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, উপদেষ্ঠা আমান উল্লাহ আমান ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধূরী এ্যানীও মোবাইল ফোনে তারেক রহমানকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান।

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে গুলশান কার্যালয় সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। দলের নেতাকর্মীরাও ভীড় জমান কার্যালয়ে উপস্থিত হন বিএনপি সিনিয়র নেতা থেকে শুরু করে অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

কেক কাটার অনুষ্ঠানে অধ্যাপক এমাজউদ্দিন আহমেদ, অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন-বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেন চৌধুরী, চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফ, বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, গিয়াসউদ্দিন কাদের চোধুরী শওকত মাহমুদ, জয়নাল আবেদীন, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, মজিবুর রহমান সারোয়ার, সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন,

ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস প্রমূখ। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর দক্ষিণের হাবিব উন নবী খান সোহেল, কাজী আবুল বাশার, উত্তরের মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, আহসানউল্লাহ হাসান, যুব দলের সাইফুল ইসলাম নিরব, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের শফিউল বারী বাবু, আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের আফরোজা আব্বাস, সুলতানা আহমেদ, ছাত্র দলের রাজিব আহসান, আসাদুজ্জামান আসাদ প্রমূখ নেতারা। এদিকে দীর্ঘদিন পর কার্যালয়ে আসেন দুই মহিলা নেত্রী শিরিন সুলতানা এবং রেহেনা আক্তার রানু।

উৎসঃ   পরিবর্তন

জাপাকে কাছে পেতে চায় বিএনপি

রংপুর সিটি নির্বাচনের মাধ্যমেই জাতীয় পর্টিকে কাছে পেতে চায় বিএনপি। এজন্যই দুই দলের মধ্যে যোগাযোগও শুরু হয়েছে। দুদলের নেতারাই বলেছেন।, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি এবং জাতীয় পার্টির ঐক্য হবে গণতন্ত্রের জন্য এক ঐতিহাসিক সন্ধি।’ যদিও বিএনপির শীর্ষ নেতারা এখনো জাতীয় পার্টি বিশেষ করে এরশাদের ভূমিকা নিয়ে সন্দিহান। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য স্বীকার করেছেন, ‘এরশাদ খুবই আনপ্রেডিক্টেবল।’ কখন কোন দিকে ছোটেন বলা মুশকিল।’ জাতীয় নির্বাচনে ঐক্য হোক আর না হোক, রংপুর সিটিতে জাতীয় পার্টিকে জিতিয়ে বিএনপি আওয়ামী লীগের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে দিতে চায়।

আগামী ২১ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি তাঁদের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। বর্তমান মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টুকে আওয়ামী লীগ প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। দলের ভেতর অন্ত:কলহ মেটাতেও কঠোর অবস্থান নিয়েছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। রংপুর সিটিতে বিজয়ের মধ্যে দিয়ে আওয়ামী লীগ তাঁর নির্বাচনী মিশন শুরু করতে চায়।

রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এরশাদের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়লেও, রংপুর জাপা এখনো শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ, রসিকের মেয়র প্রার্থী হিসেবে মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার নাম ঘোষণা করেছেন। কিন্তু এরশাদের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করেছেন তাঁর ভাতিজা কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব হোসেন মকবুল শাহরিয়ার আসিফ। তবে জাতীয় পার্টির নেতা জিএম কাদের বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘মনোনয়ন নিয়ে এই মতদ্বৈততা শিগগিরই কেটে যাবে, আর শেষ পর্যন্ত একক প্রার্থীই ‘লাঙ্গল’ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।‘

বিএনপি এখনো আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। বিএনপি কাওসার হাসান বাবলাকে মনোনয়ন দিতে পারে। তবে, প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও, রসিক নির্বাচনে বিএনপির মূল লক্ষ্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করা। এজন্য বিএনপি শেষ পর্যন্ত প্রার্থী নাও দিতে পারে। বিভিন্ন অভিযোগ করে প্রার্থিতা সরিয়ে নিতে পারে। জাতীয় পার্টির সঙ্গে রসিক নির্বাচন নিয়ে সমঝোতার চেষ্টাও চলছে। এ কারণেই ১৯ নভেম্বর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রংপুর সফর বাতিল করা হয়। বিএনপির একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ২০১৪ সালে বিএনপি জাতীয় পার্টিকে নির্বাচন বর্জনের পথে নিয়ে এসেছিল। জাতীয় পার্টি যদি ওই নির্বাচন পুরোপুরি বর্জন করতো তাহলে আওয়ামী লীগ সংসদই গঠন করতে পারতো না বলেই বিএনপি নেতারা মনে করেন। জাতীয় পার্টির একটি অংশ যেমন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ, তেমনি অন্য একটি অংশ বিএনপির সঙ্গে নিবিড়। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ার জিএম কাদের বিএনপির সঙ্গে নিয়মিত আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। নির্বাচন অথবা আন্দোলনে জাতীয় পার্টিকে পেলেই বিএনপির বিজয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা।

সংসদের বাইরে থাকা জাতীয় পার্টির নেতারাও আওয়ামী লীগের সঙ্গে আর না থাকার পক্ষে। এই অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন জিএম কাদের। এরশাদের নির্দেশেই জিএম কাদের বিএনপির সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করছেন বলে জানা গেছে। তবে, বিএনপি এরশাদকেই বিশ্বাস করতে পারছে না। ২০১৪ সালে নির্বাচনের বিরোধীতা করলেও শেষ পর্যন্ত এরশাদ শুধু সংসদ সদস্যই হননি, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত ও হয়েছেন। এরশাদ বিএনপির সঙ্গে যাবেন, না আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবেন- সেটা এরশাদ ছাড়া জাতীয় পার্টির কেউ বলতে পারেন না। এরশাদ শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন, বাজার যেদিকে ভারী পাবেন, সেদিকেই ঝাঁপ দেবেন। এর আগে প্রধান দুই দলই এরশাদকে চাইবে।

বাংলা ইনসাইডার

জামায়াতের সাথে বিএনপির জোট অটুট আছে : মির্জা ফখরুল

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জামায়াতের সাথে আমাদের জোট অটুট রয়েছে। এখনও জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়নি। তাই আগামী নির্বাচনে তারা আমাদের সাথে থেকেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

রোববার লালমনিরহাট যাওয়ার আগে বেলা পৌনে দশটায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময় আগামী নির্বাচনে জামায়াত বিএনপির সাথে জোট থাকা না থাকা নিয়ে প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।

ফখরুল বলেন, সরকার চক্রান্ত করে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়া গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে ।

তিনি বলেন, তারা বিএনপির নেতাকর্মীরদের নাম জড়িয়ে নিজেদের দোষ ঢাকার চেষ্টা করছে।

বিএনপির মহাসচিব আরো বলেন, আজকে রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়া গ্রামের আমারও যাওয়ার কথা ছিল। কিন্ত সেখানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ সেখানে যাচ্ছেন। তাই সেখানে এক সাথে দু’টি দলের প্রোগ্রাম করা সমচীন নয়, এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দেই। আজ আমার একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে লালমনিরহাটে, মিটিং শেষ করে আবার ঢাকায় ফিরতে হবে। আগামীকাল আমি রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়া গ্রামে পরিদর্শনে আসব।

উল্লেখ্য, আজ রংপুরের গঙ্গাচড়ার ঠাকুরপাড়া গ্রাম পরিদর্শনে ঢাকা থেকে ৮টা ৪৫ মিনিটে ইউএস বাংলা বিমানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমান বন্দরে আসার কথা ছিল। কিন্তু সকাল সাড়ে ৯টায় ইউএস বাংলা বিমান সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ হলে সেই বিমান থেকে শুধু আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নামেন।
insaf24

ফখরুলকে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ভাই, কেমন আছেন?

সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে পেয়ে কুশল বিনিময় করলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

নিয়মিত তাদের পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে রাজনীতির মাঠ সরগরম থাকলেও রোববার সন্ধ্যায় ঢাকার বাইরে দুজনের এই সাক্ষাতে সৌহার্দ্যের বহিঃপ্রকাশই ঘটেছে।

রংপুরে হিন্দু বসতিতে হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে সকালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে সৈয়দপুরের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়েন ওবায়দুল কাদের। লালমনিরহাটে একটি দলীয় সভায় অংশ নিতে ওই ফ্লাইটেই যাওয়ার কথা ছিল মির্জা ফখরুলের।

এ খবর জানতে পেরে সকালেই ওবায়দুল কাদের ঢাকা বিমানবন্দরে তার জন্য অপেক্ষা করেন বলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সফরসঙ্গী বিপ্লব বড়ুয়া জানান।

তবে বিএনপি মহাসচিব ফ্লাইট পাল্টে নভোএয়ারের যাত্রী হওয়ায় সকালে দুজনের দেখা হয়নি।

পরে সন্ধ্যায় তাদের দেখা হয় ঢাকা ফেরার পথে। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ডোমেস্টিক লাউঞ্জে বসে ছিলেন বিএনপি মহাসচিব। ভিআইপি লাউঞ্জ দিয়ে ঢোকার পর ওবায়দুল কাদের বিএনপি মহাসচিবকে দেখে তার কাছে এসে বলেন, “ভাই, কেমন আছেন?”

জবাবে স্মিত হেসে ফখরুল বলেন, “ভালো আছি, আপনি কেমন আছেন ভাই?”

হাত মেলান দুই নেতা। মিনিট দুয়েক কুশল বিনিময় হয় তাদের।

এরপর ওবায়দুল কাদের বলেন, “যাই বিমান রেডি হয়ে আছে।”

“ধন্যবাদ,” বলে তাকে বিদায় জানান ফখরুল।

ওবায়দুল কাদের যাত্রা করার ১০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ফখরুলের উড়োজাহাজ।

ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ার পর এই প্রথম তার সঙ্গে মুখোমুখি হলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

ঢাকা ফেরার পর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কী কথা হয়েছে জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কুশল বিনিময় হয়েছে। ঢাকা ফেরার পথে সৈয়দপুর বিমানবন্দরের লাউঞ্জে। এর বেশি কিছু না।”

এ বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ফেরার পথে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নিজে ফখরুল সাহেবের কক্ষে গিয়ে কুশল বিনিময় করেন।

“এসময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমাদের রাজনীতির পথ আলাদা হতে পারে কিন্তু সৌজন্য তো রয়েছে, দেখা- সাক্ষাৎ তো হতে পারে। আমি আপনার অপেক্ষায় ছিলাম।

“ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনি পারফেক্ট জেন্টলম্যানের কাজ করেছেন।”

বিডিনিউজ

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin