গত কালকের ঘটনার পর হাজী সেলিম আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। এই ঘটনার মীমাংসা করার জন্য দেন-দরবারও করেছেন। কিন্তু হাজী সেলিমের পাশে কেউ নেই। প্রথমবার হাজী সেলিমের ফোন কয়েকজন সিনিয়র নেতা ধরলেও এর পর তারা হাজী সেলিমের ফোন ধরাও বন্ধ করে দিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে জানা গেছে, হাজী সেলিমের ছেলে বাড়াবাড়ি করেছে। আর এই ঘটনার দায় তারা নিতে চান না। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টা নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। কাজেই এই বিষয়টা নিয়ে এখন হাজী সেলিমের প্রতি সহানুভূতি জানানোর কোন সুযোগ নেই।
উল্লেখ্য যে, গত রবিবার সন্ধ্যায় হাজী সেলিমের সংসদ সদস্য স্টিকার যুক্ত গাড়িটি কলাবাগান হয়ে যাচ্ছিল, এই সময় নৌ-বাহিনীর একজন কর্মকর্তার মোটর সাইকেলের সঙ্গে তার গাড়িটির ধাক্কা লাগে। মোটর সাইকেলে নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা ছাড়াও তার স্ত্রী ছিলেন। সে সময় হাজী সেলিমের ছেলে এবং তার দেহরক্ষীরা গাড়ি থেকে নেমে কোন রকম কথা-বার্তা ছাড়াই নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর শুরু করে। নৌ-বাহিনীর কর্মকর্তা তার নিজের পরিচয় দেওয়ার পরেও তারা বিরত হয়নি।
পরবর্তীতে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের গাড়ি এবং মোটর সাইকেল ধানমণ্ডি থানায় যায়। এ ব্যাপারে সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে নীতি-নির্ধারণী মহল বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। সেইসাথে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপরই পুলিশ ওই নৌ কর্মকর্তার উপর হামলা এবং হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করে; সেইসাথে গাড়ি চালককে আটক করে।
এই ঘটনা জানার পরই হাজী সেলিম বিভিন্ন মহলে দেন-দরবার এবং দৌড়াদৌড়ি করছেন। কিন্তু কেউই তাকে সহযোগিতা করছে না। আওয়ামী লীগের একজন সিনিয়র নেতা ও মন্ত্রী বলেছেন যে, আওয়ামী লীগ কোন ব্যক্তির অপকর্মের দায় নিবে না। সে যেই হোক না কেন, অপকর্মকারীর পাশে আওয়ামী লীগ নেই। এখন হাজী সেলিম তার ছেলেকে বাঁচানোর জন্য বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করলেও কেউ তার পাশে দাঁড়াচ্ছে না এবং কেউ তাকে সহযোগিতাও করছে না। বরং তারা এই বিষয়টি নিয়ে দেন-দরবার না করার জন্য হাজী সেলিমকে পরামর্শ দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার