dudu

‘স্বৈরশাসককে কীভাবে বাড়ি পাঠাতে হয় বিএনপি তা জানে’ – শামসুজ্জামান দুদু

কীভাবে দাবি আদায় করতে হয় এবং কীভাবে স্বৈরশাসককে বাড়ি পাঠাতে হয় সেটা বিএনপি ভাল করেই জানে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু।

এসময় সরকারকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘কথা খু্ব পরিষ্কার। সময় থাকতে আলোচনায় আসুন আমরা অপেক্ষা করবো। যদি আলোচনায় না আসেন অনন্তকাল ধরে বিএনপি বসে থাকবে না। কীভাবে দাবি আদায় করতে হয়, কীভাবে স্বৈরশাসককে বাড়ি পাঠাতে হয় সেটা বিএনপি জানে। গতকালের ঘটনার মধ্য দিয়েই আগামীকাল তৈরি হবে।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘এটা বোঝেন, দেশকে বিশৃঙ্খলার দিকে নিয়ে যাবেন, নাকি শান্তির পথে নিয়ে আসবেন। যত তাড়াতাড়ি পারেন সিদ্ধান্ত নিন। আমাদের সিদ্ধান্ত বেগম জিয়া গতকাল দিয়েছেন।’

সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে জাতীয়তাবাদী প্রজন্ম ৭১ আয়োজিত ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভূমিক ‘ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘গতকালের সমাবেশ ঐতিহাসিক। এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনা একটা সমাবেশ করতে পারেন। আমরা তো করেই ফেলেছি। শেখ হাসিনা আপনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবেই করেন তাতে আমাদের কোন আপত্তি নেই, তবে সেই সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের মনে রাখতে হবে ঢাকা শহরের সমস্ত বাস, পরিবহন সেক্টর বন্ধ থাকবে, আর একটা ব্যাপার সমাবেশ যেদিন হবে তার দুই দিন আগে পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী যারা আছে তাদেরকে ধাওয়া করবে।

বাড়িতে ঘুমাতে দিবে না, প্রধানমন্ত্রীকে নির্দেশ দিবে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে, লাটিপেটা করা হয়েছে ঠিক তেমনি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের করতে হবে। এই দুটি কাজ করে তারপর দেখেন মাঠ ভরে কিনা?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পায়ে হেটে আওয়ামী লীগের নেতারা রাস্তায় চলতে ভুলে গেছে, তাদের শরীর এমন বাড়া বেড়েছে। রাজনীতির একটা শেষ আছে। গতকালকের সমাবেশে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া স্পষ্ট ভাষায় বলে দিয়েছেন- শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। এটাই হচ্ছে বিএনপির ম্যাসেজ।’

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি ঢালী আমিনুল ইসলাম রিপনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয় পার্টি (জাফর) প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিঙ্কন, বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আব্দুস সালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, জিনাপের সভাপতি লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

পাল্টা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছে আ. লীগ

বিএনপি দীর্ঘদিন পর গতকাল রোববার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে। অব্যাবস্থাপনা, দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ বিএনপি নেতাদের নির্দেশনাহীন বক্তৃতাসহ সমাবেশ নিয়ে নানা সমালোচনা থাকলেও বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি ছিল সেখানে। বিএনপির এমন সমাবেশের পর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও বড় পরিসরে একটি সমাবেশের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আগামী ১৮ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই আওয়ামী লীগের সমাবেশ হতে পারে।

আওয়ামী লীগের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে ঐতিহাসিক দলিল হিসেবে জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) স্বীকৃতি দেওয়া উপলক্ষে ১৮ নভেম্বর সমাবেশ আয়োজন করা হচ্ছে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া আওয়ামী লীগের সব শীর্ষ নেতাই উপস্থিত থাকবেন ওই সমাবেশে। আর ১৪ দলীয় জোটের শরীকদের কেউ কেউ সেখানে উপস্থিত থাকতে পারেন।

দলের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতা জানিয়েছেন, বিএনপির সমাবেশের পাল্টা জবাব হবে ১৮ তারিখের সমাবেশ। সমাবেশে সারাদেশ থেকে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত হবে, যা হবে বিএনপির সমাবেশে উপস্থিতির কয়েকগুন বেশি। আর এই সমাবেশ থেকেই বিএনপির সমাবেশের করা বিভিন্ন অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়া হবে। বিএনপির শোডাউনের পাল্টা শোডাউন হবে ১৮ নভেম্বরের আওয়ামী লীগের সমাবেশ এমনটাই জানান ওই নেতারা।

বাংলা ইনসাইডার

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin