মানুষের ভোটাধিকার নেই, কথা বলার অধিকার নেই মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার প্রধান লক্ষ্য ছিল বহুদলীয় গণতন্ত্র। পাকিস্তান জনগণের ভোটাধিকার হরণ করতে চেয়েছিল বলেই গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার বিস্ফোরণ ঘটেছিল।
রিজভী বলেন, আজকে মানুষের কথা বলার অধিকার নেই। মৌলিক মানবাধিকার নেই। আমরা কথা বললে সেটা এডিট হয়ে যাচ্ছে। অথচ আমাদের দলের চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন শাসকদলের নেতারা।
শনিবার সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে বিজয় দিবস উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে ৭০ সালের নির্বাচনে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়নি বলেই একটা রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জন হয়েছিল। সে দিনের ইয়াহিয়া খান, টিক্কা খানের সঙ্গে আজকের শাসকগোষ্ঠীর পার্থক্য কী?
রিজভী বলেন, আপনারা জানেন পঁচাত্তরে একদলীয় বাকশাল কায়েম করেছিল আওয়ামী লীগ। আজকে এ বাকশালের নব্য সংস্করণ নির্দয়ভাবে চেপে বসেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের পার্থক্য থাকবে। মুক্তিযুদ্ধের শুরুর সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রধান নেতৃত্বের কোনো সম্পর্ক ছিল না। আমরা গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করছি।
সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তিনি বলেন, অপরিকল্পিত উন্নয়ন পরিবেশ দূষণ করে। এই অপরিকল্পিত উন্নয়নে পেছনে গোপন দুর্নীতি রয়েছে।
গওহর রিজভী প্রধান বিচারপতিকে ধমক দিতে গিয়েছিলেন: রিজভী
ঢাকা: প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে ধমক দিতেই তার সাথে দেখা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা গওহর রিজভী বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ।
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অপরাজেয় বাংলাদেশ আয়োজিত ‘বিচার বিভাগকে আক্রমণ করে আওয়ামী দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন’ শীর্ষক এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আদালতের সাথে আওয়ামী লীগের মৌন যুদ্ধ চলছে। ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পর্যবেক্ষণে জনগণের মনের কথা বলায় তাদের গায়ের জ্বালা শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের দলের প্রতিটি নেতারা তার সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয় তারা দুদক, এনবিআরকে তার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, গওহর রিজভীকে আমরা ভালোভাবে চিনিও না, তার বাড়ি উত্তর প্রদেশে তিনি ভাল করে বাংলা বলতে ও লিখতে পারেন না। তাকে প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতিকে ধমক দেয়ার জন্য পাঠিয়ে ছিলেন। সুশাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি যাননি।
আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান ফরিদা মনি শহীদ উল্লার সভাপতিত্বে এবং এম. জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন সেলিম প্রমুখ।
rtnn