jamat_khaleda

সিটি নির্বাচন নিয়ে জামায়াতের গোপন টার্গেট ফাঁস!

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উপনির্বাচন নিয়ে ২০ দলীয় জোটের প্রধান শক্তি বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে টানাপোঁড়েন শুরু হয়েছে। এমনকি জামায়াত বিএনপিকে ডিঙিয়ে নিজের শক্তি প্রদর্শন করতে এখনো পর্যন্ত নিজেদের প্রার্থী সেলিম এখনো নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন। এমনকি তিনি ঘোষণা দিয়েছেন, ২০ দলীয় জোট যদি মনোনয়ন নাও দেয়, স্বতন্ত্র হিসাবে লড়তে চান তিনি।

তবে পূর্বপশ্চিমবিডি.নিউজের সঙ্গে আলাপকালে জামায়াতের একটি নির্ভর যোগ্য সূত্র বলেছে, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে ২০ দলীয় জোটকে ছাড় দিতে রাজি আছে দলটি। তাদের মূল টার্গেট সিলেট সিটি কর্পোরেশন। সেখানে একজন প্রার্থীও ঠিক করে রেখেছে দলটির হাই কমান্ড। ছাত্র শিবিরের একজন সাবেক সভাপতি নিরবে মাঠে রয়েছেন বলে জানিয়েছে সূত্রটি।

এদিকে, ২০ দলীয় জোটের একজন শীর্ষ নেতা পূর্বপশ্চিমকে বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে জামায়াত নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে জোটের মধ্যে ভাঙনের সুর তুলেছে। তাদেরকে অবশ্যই জোট নেত্রী খালেদা জিয়ার নির্দেশ মানতে হবে। সে হিসাবে তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই কাজ করতে হবে জামায়াতসহ সব দলকে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, জামায়াত মূলত ঢাকা উত্তরে নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করে বিএনপির ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে। কারণ দলটির মূল টার্গেট সিলেট সিটি কর্পোরেশনে নিজেদের প্রার্থীর মনোনয়নের ব্যাপারে বিএনিপর কাছ থেকে নিশ্চয়তা আদায় করা।
পূর্বপশ্চিম

নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

মওদুদ আহমদবিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের মন্তব্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন সম্পর্কে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, প্রধানমন্ত্রী মূলত সেটাই বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।

কিন্তু নির্বাচনকালীন কোনও সরকার গঠনের ব্যবস্থা সংবিধানে নেই। তাই কথাটা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছেন তিনি।’ শনিবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের ভাষ্য, ‘জাতির প্রত্যাশা ছিল, আগামী নির্বাচন কীভাবে সুষ্ঠু,অবাধ ও নিরপেক্ষ করা যায় সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী কিছু একটা বলবেন। কিন্তু এ নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। তিনি একতরফা ভাষণ দিয়েছেন। এই ভাষণে দেশের সত্যিকারের চিত্র তুলে ধরা উচিত ছিল, কিন্তু তিনি তা করেননি।’

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরা উন্নয়নের সমালোচনা করেছেন মওদুদ। তার বক্তব্য— ‘যে উন্নয়নের মেলার কথা বলা হয়েছে, তা দুর্নীতির মেলা। বড় বড় প্রকল্প মানেই বড় বড় কমিশন। এই যে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প, এসব তদারকি করেন কে? নির্দ্বিধায় জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করা হচ্ছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট। সংগঠনটির সভাপতি শাহাদাত হোসেন সেলিমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, খালেদা ইয়াসমীন, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin