khaleda_05

সশস্ত্র দিবস উপল‌ক্ষে খা‌লেদার বাণী

সশস্ত্র বাহিনী সাহস, শৌর্য এবং শৃঙ্খলা দিয়ে তৈরি জাতির এক গর্বিত প্রতিষ্ঠান আখ্যা দি‌য়ে বিএন‌পি চেয়ারপারসন বেগম খা‌লেদা জিয়া ব‌লে‌ছেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডত্ব রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনির দেশপ্রেমিক সদস্যগণ অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করে চলেছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বশান্তি রক্ষায়ও তারা পালন করে চলেছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা।’

‌সোমবার (২০ নভেম্বর) গণমাধ্য‌মে পাঠা‌নো এক বাণী‌তে তি‌নি এসব কথা ব‌লেন।

‌তি‌নি ব‌লেন, ‘জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা বাহিনিতে কর্মরত আমাদের সশস্ত্র বাহিনির সদস্যগণ কর্মদক্ষতা ও উঁচুমানের পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে দেশের সুনাম বয়ে আনছে। দেশের সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগেও সশস্ত্র বাহিনী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দ্বিধাহীনভাবে সংকট মোকাবেলায় ঝাঁপিয়ে পড়েছে।’

‘সশস্ত্র বাহিনি দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনির সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। সশস্ত্র বাহিনির সকল সদস্য ও তাদের পরিবারের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করি।’

আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।

বিএন‌পি চেয়ারপারসন ব‌লেন, ‘স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনিকে একটি আধুনিক, গতিশীল ও দক্ষ পেশাদার বাহিনি হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করেছিলেন। সেই থেকে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনি সুশৃঙ্খল, ক্ষিপ্র ও সদা তৎপর এক আধুনিক বাহিনিতে পরিণত হয়, যা বিশ্বের যেকোনো আধুনিক রাষ্ট্রের সেনাবাহিনির সমকক্ষ। পরবর্তীতে আমরা সরকারে থাকতে সশস্ত্র বাহিনিকে শহীদ জিয়ার গৃহিত কর্মসূচির ধারাবাহিক বাস্তবায়নের অগ্রগতি সাধিত করে এই বাহিনিকে আরো আধুনিকায়ন ও একে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে সচেষ্ট থেকেছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।’

‘আমি সশস্ত্র বাহিনি দিবসের সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি’

‌ব্রে‌কিং‌নিউজ

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় তারেকসহ চারজনের বিচার শুরু

ঢাকার তেজগাঁও থানায় করা রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা এই অভিযোগ গঠন করেন। আগামী ১৫ জানুয়ারি মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে।

বাকি যে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে, তাঁরা হলেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল একুশে টিভির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুস সালাম, একুশে টিভির তৎকালীন সাংবাদিক (২০১৫) কনক সারওয়ার ও মাহাথীর ফারুকী।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল প্রথম আলোকে বলেন, রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে তারেকসহ চারজনের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে আবদুস সালাম ছাড়া বাকি তিনজন পলাতক। গত ২৩ অক্টোবর তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। অভিযোগ গঠনের শুনানির সময় সালাম আদালতে হাজির ছিলেন।

২০১৫ সালের ৮ জানুয়ারিতে তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে এই মামলা করেন।

এজাহারে বলা হয়, ২০১৫ সালের ৫ জানুয়ারি লন্ডন থেকে তারেক রহমানের দেওয়া কিছু বক্তব্য একুশে টিভিতে সরাসরি প্রচারিত হয়। এরপর ৬ জানুয়ারি তেজগাঁও থানার পুলিশ তারেক রহমান ও আবদুস সালামের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুমতি দিলে ৮ জানুয়ারি রাষ্ট্রদ্রোহের ওই মামলা হয়। মামলায় পরস্পর যোগসাজশে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের উসকানি দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে। গত বছরের ৩ আগস্ট এই মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।

প্রথম-আলো

৫৩ বছরে পা দিলেন তারেক রহমান

তেপ্পান্ন বছরে পা দিলেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সোমবার তার ৫৩তম জন্মদিন। ১৯৬৫ সালের ২০ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান।

তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল, স্বেচ্ছায় রক্তদান, আলোকচিত্র প্রদর্শনী ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সোমবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নিচ তলায় ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ড্যাব) এর উদ্যোগে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ওষুধ বিতরণ করা হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলাদল আলোচনার আয়োজন করেছে।

রোববার রাতে গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে জন্মদিন পালনের জন্য এক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। বিএনপি চেয়ারপারস বেগম খালেদা জিয়ার ও দলের সিনিয়র নেতা উপস্থিত থাকবেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার।

গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় রোববার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীল বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান, দেশের উৎপাদন-উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির স্বাপ্নিক তারেক রহমানের ৫২তম জন্মবার্ষিকীতে তার প্রতি আমার প্রাণঢালা শুভেচ্ছা।’

তিনি বলেন, ‘তৃণমূল পর্যায়ে তরুণ সমাজকে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে উদ্বুদ্ধ করে উন্নয়ন ও উৎপাদনের মধ্যে যুক্ত করলে দেশ অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে-এই চিন্তার ধারক-বাহক ও বাস্তবায়নকারী হিসেবে তারেক রহমান সারাদেশের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন। দেশের জনগোষ্ঠীর তৃণমূলে দীর্ঘদিনের অচলায়তন কাটিয়ে প্রাণসঞ্চার করেছিলেন তারেক রহমান।’

তিনি আরও বলেন, ‘১/১১-তে মঈনউদ্দীন-ফখরুদ্দীনের অসাংবিধানিক সরকার তারেক রহমানকে নি:শেষ করার জন্য মামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ক্রমাগত অপবাদ দ্বারা জর্জরিত করে। ‘যাদের আন্দোলনের ফসল ছিল ১/১১ সরকার তারা ক্ষমতায় এসেই তারেকের বিরুদ্ধে নানামূখী চক্রান্তে আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যায়। অসংখ্য মামলা দিয়ে তাকে পর্যুদস্ত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালায় আওয়ামী সরকার। তবুও তারা তারেক রহমানকে দুর্বল করতে পারেনি।’

বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নটুকু মুছে ফেলে আবারও একদলীয় শাসনের নিষ্পেষণে সারাজাতিকে বন্দী করা হয়েছে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই দু:সময়ে তারেক রহমানের নিঃশংক মনোবল ও দৃঢ় নেতৃত্ব দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে উজ্জীবিত করছে।’ তারেক রহমানের আশু সুস্থতা এবং সুখী ও দীর্ঘজীবন কামনা করেন ফখরুল।

এদিকে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষ্যে রোববার ন্যাশনালিস্ট রিসার্চ সেন্টার (এন. আর. সি) কর্তৃক আয়োজিত ‘জননেতা’ শিরোনামে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক আলোচনা সভা ও আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস যোগ দেন।

১৯৮৮ সালে বগুড়া জেলা বিএনপির প্রাথমিক সদস্য হওয়ার মাধ্যমে রাজনীতিতে সক্রিয় হন তারেক রহমান । ২০০২ সালের ২২ জুন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাকে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব নিযুক্ত করেন। ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর দলের পঞ্চম কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

২০০৭ সালের ৭ মার্চ সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্যান্টনমেন্টের মঈনুল রোডের বাসভবন থেকে তারেক রহমানকে গ্রেফতার করে। ফখরুদ্দীন-মঈনউদ্দীন সরকার তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মোট ১৪টি মামলা দিয়েছিল। উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তিনি চিকিৎসার জন্য স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান ও মেয়ে জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে যান। বর্তমানে সেখানেই অবস্থান করছেন তারেক রহমান।

উৎসঃ   পরিবর্তন

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin