ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে গোপনে আঁতাত করেছেন বিএনপির ৫ নেতা। আতাত করেই তারা সরকারের প্রতি নমনীয় আচরণ করছেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোন আন্দোলন করছেন না। সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী দল চালাচ্ছেন।
বিএনপির কয়েকজন নেতা একরম সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণসহ একটি অভিযোগ বেগম জিয়ার কাছে পাঠিয়েছেন। তারা দলের অস্তিত্বের স্বার্থের বিষয়গুলো দলের চেয়ারপার্সন জানা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন।
এই ৫ নেতা ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ও সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে বৈঠক এবং দেন দরবার করেন, এমন তথ্য প্রমাণ পেয়েছেন অভিযোগকারী বিএনপি নেতৃবৃন্দ। যে ৫ নেতার বিরুদ্ধে এই আতাতের অভিযোগ আনা হয়েছে তারা হলেন:
১. মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর: বিএনপির মহাসচিব, আওয়ামী লীগ ও সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে নিয়মিত বৈঠক করেন। সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি বিএনপি পরিচালিত করেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির বিক্ষুদ্ধরা। ফখরুল সরকারি টাকায় বিদেশে চিকিৎসা করিয়েছেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
২. ড: খন্দকার মোশাররফ হোসেন: ড: খন্দকার মোশাররফ নিজের বিরুদ্ধে আনা দূর্নীতির মামলা থেকে বাঁচার জন্য সরকারের সাথে গোপন আতাত করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এজন্য তিনি চুপচাপ থাকেন। সরকারের বিরুদ্ধে কোন কথা বলেন না। এমনকি, স্থায়ী কমিটির বৈঠকে তিনি আন্দোলনের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।
৩. মির্জা আব্বাস : মির্জা আব্বাস তার ঢাকা ব্যাংক রক্ষা এবং নির্বিঘ্নে পরিবহন ব্যবসা অব্যাহত রাখতে সরকারের সাথে গোপন আতাত করেছেন। এই আতাতের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে দূর্নীতির মামলার কার্যক্রম ও বন্ধ হয়ে গেছে।
৪. ব্যরিস্টার মওদুদ আহমেদ: সরকারের সঙ্গে সমঝোতা করেই রাজনীতিতে নিস্ক্রিয় হয়ে গেছেন। ব্যরিস্টার মওদুদ গুলশানে জালিয়াতি করে হাতিয়ে নেয়া বাড়ীটি নতুন করে ফিরে পেতেই তিনি সরকারের সঙ্গে দেন দরবার করছেন।
৫. নজরুল ইসলাম খান: বিএনপির বিক্ষুদ্ধ নেতারা অভিযোগ করেছেন যে, নজরুল ইসলাম খান হলো সরকারের ইনফরমার। সরকারের কাছে বিএনপির তথ্য দিয়ে তিনি লাভবান হয়।
তবে বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, এই অভিযোগ ‘ওপেন সিক্রেট’। বিএনপির সবাই এটা জানে। বেগম জিয়ারও এটা অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু তিনি কখনও এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবেন না।
বাংলা ইনসাইডার