hasina_003

সরকারের বিরুদ্ধে ৫ ষড়যন্ত্র

টানা ১২ বছর ধরে ক্ষমতায় আছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এই ১২ বছর নানারকম প্রতিকূলতা মোকাবেলা করেই দেশ পরিচালনা করতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে।

বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে। কিন্তু তৃতীয় মেয়াদে এসে আওয়ামী লীগ একটু কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে। একদিকে করোনা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক মন্দা, অন্যদিকে ঘরে-বাইরে নানারকম ষড়যন্ত্রের মুখোমুখি হতে হচ্ছে শেখ হাসিনা সরকারকে। একটি ষড়যন্ত্র শেষ হলেই নতুন ষড়যন্ত্র দানা বেঁধে উঠছে।

এই মুহূর্তে সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য, বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য পাঁচ রকম ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রগুলো ক্রমশ দৃশ্যমান হচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন যে, আওয়ামীলীগের বিরুদ্ধে যতই ষড়যন্ত্র হবে আওয়ামী লীগ ততই আরো শক্তিশালী হবে।

এই ষড়যন্ত্রের ব্যাপারে তিনি জনগণকে সতর্ক থাকার জন্য আহবান জানিয়েছে। সরকার কে এখন যে সমস্ত স্বরযন্ত্রের মোকাবেলা করতে হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে:-

১। বিদেশে বসে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের অপপ্রচার: কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিদেশে বসে বিরামহীনভাবে সরকার এবং বিশেষ করে সেনাবাহিনীর সম্পর্কে বিশদআকার এবং অসংগতি মূলক, বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। গতকাল আইএসপিআর এর পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। যাতে এ ষড়যন্ত্রের রূপ এবং প্রকারণ সুস্পষ্ট হয়ে গেছে।

দেখে গেছে যে বরখাস্তকৃত সাবেক কর্নেল শহীদ উদ্দিন এবং অবসরপ্রাপ্ত মেজর দেলোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন। এই বক্তব্যগুলো সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা চলছে । আইএসপিআর অবশ্য গতকাল এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিয়েছে। এর ফলে এই ষড়যন্ত্রের স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে।

২। গুজব ছড়িয়ে উত্তেজনা: বেশ কয়েকদিন ধরে নানা রকম গুজব ছড়ানো হচ্ছে, বিশেষ করে ফ্রান্সের ঘটনার পরেই গুজব বেড়েছে। এই গুজবের দুটি দিক রয়েছে, একটি হলো সামাজিক অস্থিরতা তৈরি করা এবং আরেকটি হলো সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করা। সরকার গুজবের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে। যেকোন মূল্যে গুজব সন্ত্রাস মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছেন। 

৩। দ্রব্যমুল্যের ঊর্ধ্বগতি: দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিও একটি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকারি নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন। সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এর মাধ্যমে বাজারে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে জনমনে এক ধরনের আতঙ্ক এবং অনাস্থা তৈরীর চেষ্টা করা হচ্ছে ।

৪। প্রশাসনের সক্রিয় বিএনপি-জামায়াত: বেশ কিছুদিন ধরেই প্রশাসনে বিএনপি-জামাত তৎপরতায দৃশ্যমান হচ্ছে। বিভিন্ন রকম বিভ্রান্তিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে তারা সরকারকে সমালোচনার মুখে ফেলার কৌশল গ্রহণ করেছেন। রূপপুর বালিশ প্রকল্প থেকে শুরু করে নিয়ে করোনার সময় স্বাস্থ্য খাতে দুর্নীতি, সবই বিএনপি-জামাতের লোকজনের সৃষ্টি এবং তা পরবর্তীতে প্রমাণিত হয়েছে। এখনও ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতপন্থি সরকারকে অজনপ্রিয় করার জন্য এবং জনগণের সাথে সরকারকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে বলেই জানা গেছে।

৫। পরিকল্পিত ধর্ষণ: হঠাৎ করেই বাংলাদেশে ধর্ষণ বেড়ে গেছে । এই ধর্ষণ গুলোর ক্ষেত্রে একটা সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ঘটনার চেয়েও প্রচারণা হচ্ছে বেশি। আর এর লক্ষ্য একটাই যে জনগণকে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলা। এই কাজের নেতৃত্ব দিচ্ছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরসহ বিএনপি জামায়াতপন্থী কিছু ছাত্র নেতা । আর এই ষড়যন্ত্র সরকার শুরুতেই ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে এই ষড়যন্ত্রের লাগাম টেনে ধরেছেন। তার পর দেশের বিভিন্ন স্থানে ষড়যন্ত্র এখনো চলছে।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin