নির্দোষ হওয়া সত্ত্বেও খালেদা জিয়াকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বন্দি করে রাখার পর এবার তার সাজা আরো বাড়ানোর সরকারের ইচ্ছাপূরণে এখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ব্যবহৃত হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
রবিবার দুপুরে নয়াপল্টনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী বলেন, ‘খালেদা জিয়া নৈতিকতার আদালতে নির্দোষ। তাকে প্রহসনের বিচারের মাধ্যমে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এখন সরকারের ইচ্ছাপূরণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
এর আগে সকালে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া পাঁচ বছরের কারাদণ্ড আরো বাড়াতে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করে দুদক।
সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, ‘জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে দেয়া সাজা শেখ হাসিনার ইচ্ছাপূরণের সাজা। যেদিন সাজা দেয়া হয়েছে, সেদিন যে উল্লাস তিনি প্রকাশ করেছিলেন, তাতেই মনে হয়েছে- এটি তার অনেক দিনের আকাঙ্ক্ষা।’
তিনি আরো বলেন, ‘একটি প্রহসনের বিচারপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে সাজা দিয়ে খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। আর দুদক তো সুধাসদনের নানাবিধ এক্সটেনশন। সুতরাং শেখ হাসিনা যা চাইবেন, তাই হবে।’
রিজভী অভিযোগ করেন, ‘বিরোধী দলের আন্দোলন দমন করতে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাজানো হয়েছে। শেখ হাসিনার দুঃশাসনের প্রকোপ এখন বিপজ্জনক রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী শক্তি এবং বিশিষ্ট নাগরিক সমাজ শেখ হাসিনার চরম রাজনৈতিক আক্রমণের শিকার। অন্তহীন ক্ষমতালিপ্সার কারণে জনগণের বদলে বন্দুককেই নিরাপদ মনে করছে এই সরকার।’
সংবাদ সম্মেলনে গত ১৮ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে তুলে নিয়ে যাওয়া ঢাকা মহানগর সবুজবাগ থানা ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক সোহরাব হোসেন সেন্টুকে অবিলম্বে জনসমক্ষে হাজির করার দাবি জানানো হয়।
রিজভী বলেন, সোহরাব হোসেন সেন্টুকে সরকারের বাহিনী নিয়ে গেছে, এটি নিশ্চিত। তারুণ্যের শক্তিকে, তারুণ্যের দ্রোহকে দমানোর জন্য এক ভয়ংকর নীলনকশায় মেতে আছে বর্তমান অবৈধ সরকার। কারণ তরুণরাই হচ্ছেন এই স্বৈরাচার পতনের মূল শক্তি। গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার অগ্রদূতই হচ্ছেন তারা। তাই তাদের নিঃশেষ করার জন্য, দমিয়ে রাখার জন্য, ধ্বংস করার জন্য এসব নাটক সাজানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর নাসির, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।