সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায় ইইউ

সব দলের অংশগ্রহণে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য দেখতে আগ্রহী ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠেয় বাংলাদেশ-ইইউ কূটনৈতিক সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ প্রত্যাশার কথা বলেন গানার উইগান্ড।

আজ সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় পররাষ্ট্রসচিব মো. শহীদুল হকের সঙ্গে ইউরোপীয় বহিঃসম্পর্ক বিভাগের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক গানার উইগান্ড বৈঠক করেন।

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন করা হলে গানার উইগান্ড বলেন, ‘আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চাই, যেখানে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত সব দল অংশ নেবে।’ তিনি জানান, নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ইইউ রাষ্ট্রদূত নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করছেন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা করবে ইইউ।

বৈঠকের পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হওয়াসহ ইউরোপের সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরেছে ইইউ। আর বছর শেষে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনসহ রাজনৈতিক পরিস্থিতি বৈঠকে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ।

পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক বলেন, ‘ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কোন্নয়ন ও অমীমাংসিত সব বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। আলোচনার বড় অংশজুড়ে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কথা বলেছি। কারণ, এই সমস্যা সমাধানের ক্ষেত্রে তারা আমাদের বড় অংশীদার।’

বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ায় ইইউর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বাংলাদেশের প্রশংসা করেন। গানার উইগান্ড বলেন, ‘মিয়ানমার ও বাংলাদেশের সঙ্গে জাতিসংঘের সংস্থাগুলো গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা মনে করি, প্রথম ধাপে প্রত্যাবাসন শুরু করতে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে। এখন পর্যন্ত তাদের জন্য দেওয়া আর্থিক সহায়তার অর্ধেকের বেশি দিয়েছে ইইউভুক্ত দেশগুলো। তবে তা যথেষ্ট নয়। তাই অন্য দেশগুলোকেও এগিয়ে আসতে হবে।’

ইউরোপে থেকে অনিয়মিত বাংলাদেশিদের ফেরানোর বিষয়ে মানসম্মত পরিচালনা পদ্ধতি (এসওপি) নিয়ে আলোচনায় দুই পক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করে। অবৈধ অভিবাসনের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এসব লোকজনের দেশে ফেরার পর তাদের পুনর্বাসনে সহায়তার জন্য ইইউর ভূমিকার প্রশংসা করেছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার প্রশংসা করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অর্থনৈতিক উত্তরণ মসৃণ আর টেকসই করতে ইউরোপের অব্যাহত সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin