শীতে পায়ের যত্ন কিভাবে?

শীত এলেই আমাদের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। রুক্ষ আর মলিন হয়ে পড়ে আমাদের হাত-পা। সারাবছর যেমন তেমন থাকলেও শীতের সময়টাতে ত্বকের যত্নে একটু বেশিই যত্নশীল হতে হয়। তাই পায়ের দিকেও রাখতে হয় বাড়তি খেয়াল। আজ জেনে নেবো তেমনই কিছু যত্নের উপায়-

কমলার খোসা শুকিয়ে সেটা গুঁড়ো করে কাঁচা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিয়মিত হাতে-পায়ে লাগান, এতে অবশ্যই আপনি ভালো ফলাফল পাবেন।

শসা, টমেটো এবং লেবুর রসের সঙ্গে চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে হাতে-পায়ে লাগান আর ১৫ মিনিট পরেই দেখুন কালচে পড়া হাত পায়ের উজ্জ্বলতা।

ঘৃত কুমারীর থকথকে জেলটা হাতে-পায়ে ব্যবহার করলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।

এক টেবিল চামচ গুড়োঁ দুধ, এক টেবিল চামচ মধু, এক টেবিল চামচ লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে হাত-পায়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। তারপর পরিষ্কার করুন। এ প্যাকটি শাইন আনবে আর সানটান দূর করবে।

কাঁচা আলুর রস প্রতিদিন ২ বার করে ব্যবহার করলেও খুব দ্রুত উজ্জ্বল লাবণ্যময় হাত-পা দেখে নিজেই অবাক হবেন।

দুই টেবিল চামচ বেসন, দুই চিমটি কাঁচা হলুদ, ২-৩ ফোঁটা লেবুর রস আর এক চা-চামচ দুধ দিয়ে প্যাক বানিয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি হাতে-পায়ে ৫ মিনিট ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করে পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে মনে রাখবেন, হলুদ কিন্তু সবাইকে স্যুট করে না।

এক চা চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ শসার রসের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়ো মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে হাতে-পায়ে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন আর ২ সপ্তাহ পর সবার প্রশংসা পাবার জন্য তৈরি থাকুন। এই প্যাক প্রতিদিন ব্যবহার করবেন।

খাওয়ার পরেই ঘুমাতে যাবেন না যে কারণে

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে নানাজনের নানারকম অভ্যাস থাকে। কেউ বই পড়েন, কেউ গান শোনেন, কেউ মুভি দেখেন, কেউ আড্ডা দেন, কেউবা আবার সটান শুয়ে পড়েন। এসব অভ্যাসের মধ্যে কোনগুলো শরীরের পক্ষে ভালো, কোনগুলোই বা অস্বাস্থ্যকর? সে বিষয় নিয়ে মতভেদ থাকতেই পারে। কিন্তু অন্তত একটি কাজ খেয়ে ওঠে শুতে যাওয়ার আগে না করলে হতে পারে গুরুতর শারীরিক সমস্যা- এমনটাই মনে করছেন ডায়েটিশিয়ান লেজলি ব্যাক।

‘দা গ্লোব অ্যান্ড মেইল’ নামের দৈনিকে লেজলি জানাচ্ছেন, রাতে খেয়ে ওঠার পরে আর কিছু করুন না করুন, দু’তিন ঘণ্টা বেশি কিছুতেই জেগে থাকবেন না। যদি খাওয়ার পরে চার বা পাঁচ ঘণ্টা বাদে শুতে যান, তাহলে শরীরে মেটাবলিজম রেটে যেমন গুরুতর পরিবর্তন আসে, তেমনই ঘুমেও সমস্যা দেখা দেয়।

এর ফলে রক্তচাপের তারতম্য ঘটে এবং হার্টের রোগ দেখা দিতে পারে। কাজেই লেজলির পরামর্শ, যদি রাতে খাওয়ার পর দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকতেই হয় তাহলে ফল কিংবা অন্য কোনো সহজপাচ্য খাবার খেয়ে নিন।

কিন্তু তার অর্থ এ নয় যে, খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুমোতে যাওয়ার কথা বলছেন লেজলি। তার বক্তব্য, খেয়ে উঠেই ঘুমিয়ে পড়লে গ্যাস্ট্রোইন্টেস্টাইনাল রিফ্লাক্সের ফলে গ্যাস, অম্বল বা বুক জ্বালার মতো সমস্যা দেখা দেয়। কাজেই খাওয়া এবং ঘুমোতে যাওয়ার মধ্যে ঘণ্টা দেড়-দুই ব্যবধান রাখাই আদর্শ, এমনটাই মত লেজলির।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin