anisul_haq

শিগগিরই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ হবে: আইনমন্ত্রী

অচিরেই সুপ্রিম কোর্টে একজন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। গত বছর দশই নভেম্বর বিদেশে বসে পদত্যাগ করেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সেই থেকে দু’মাসের বেশী সময় ধরে নতুন কোন প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেননি রাষ্ট্রপতি। খবর বিবিসির

এর আগে বাংলাদেশে কখনোই এত দীর্ঘ সময় ধরে প্রধান বিচারপতির পদটি ফাঁকা থাকেনি। এমনকি প্রধান বিচারপতির পদ শুন্য ঘোষণা করে কোন গেজেট নোটিফিকেশনও জারি করেনি সরকার।

অবশ্য পদত্যাগের আগে যখন ছুটিতে ছিলেন সিনহা তখন যে জেষ্ঠ্য বিচারপতি ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হয়েছিলেন, সেই আবদুল ওয়াহহাব মিয়াই এখনও দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।

কিন্তু মিয়ার প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেয়া না থাকবার কারণে নতুন বিচারপতিদের তিনি শপথ পড়াতে পারেন না, যেটাকে একটি শূণ্যতা হিসেবে দেখেন কোন কোন বিশ্লেষক। পুরো পরিস্থিতিকে নজিরবিহীন বলেও বর্ণনা করেন কেউ কেউ।

কিন্তু এতে কোন সমস্যা দেখছেন না আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘এটা তড়িৎ নিয়োগ হতে হবে, সেরকম কোন সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা কিন্তু নেই’।

তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধানের পঁচানব্বই অনুচ্ছেদে বলা আছে, এটা সম্পূর্ণ মহামাণ্য রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। সেই মতে উনি কখন নিয়োগ দেবেন, আমিত এটা বলতে পারব না। কিন্তু আমি আশা করি খুব শিগগিরই এটা হবে’।

সরকার বিচার বিভাগকে করায়ত্ব করার চেষ্টা করছে, বিরোধী দলগুলোর এমন অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়ে আইনমন্ত্রী বিচারবিভাগকে স্বাধীন বলেও উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমরাতো দেখিয়ে দিচ্ছি স্বাধীনভাবে বিচার হচ্ছে। মানুষ স্বাধীনভাবে বিচার পাচ্ছে। জনগণ আদালতে যেতে পারছে’।

এর আগে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে বিভিন্ন অভিযোগ জানতে পারার পর আপিল বিভাগের অন্য বিচারপতিরা তার সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করছে বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট।

সরকারের সঙ্গে এক দীর্ঘ প্রকাশ্যে দ্বন্দ্বের পর যেভাবে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ছুটি নিয়ে দেশ ছাড়তে হয়, তা নিয়ে তুমুল বিতর্কের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের তরফে একথা জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ছাড়ার আগে বিচারপতি সিনহা সাংবাদিকদের কাছে বিলি করা এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, যেভাবে প্রধানমন্ত্রী থেকে মন্ত্রীরা তার সমালোচনা করে বক্তব্য দিয়েছেন, তাতে তিনি বিব্রত। তিনি একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিয়েও আশংকা প্রকাশ করেছিলেন।

দায়িত্বে থাকা কোন প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্ট নিজেই বিবৃতি দিয়ে এক গাদা অভিযোগের কথা প্রকাশ করছে, এটি বাংলাদেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে এক নজিরবিহীন ঘটনা।

Check Also

khaleda_mirja_tareq

যে কারণে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না বিএনপি

টানা ১৫ বছর ক্ষমতার বাইরে বিএনপি। বিভিন্ন সময় ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে, আন্দোলনের হুমকি দিচ্ছে …

Leave a Reply

Your email address will not be published.

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin