বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনো শর্ত দিলে ফোন দিতেও তিনি রাজি নন। তিনি বলেন, সংলাপেরও এখন আর সুযোগ নেই, এমনকি কোনো সম্ভাবনাও নেই।
আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন। বাসসের খবরে এ কথা বলা হয়েছে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি ‘সংলাপের জন্য বিএনপি সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছে’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোনো শর্ত দিলে ফোন দিতে রাজি নই। আমি কল করলে উনি (মির্জা ফখরুল) কল করবেন, ব্যাপারটা শর্তযুক্ত। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না।’ তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যোগাযোগ থাকা ভালো। যোগাযোগটা থাকলে অনেক কঠিন বরফও গলতে পারে।
কাল সোমবার অনুষ্ঠেয় তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সিটি করপোরেশন নির্বাচন ভালো হবে। কিন্তু বিএনপি যদি না জেতে, তাহলে ভালো হবে না। আমি জানি না এই সংস্কৃতি থেকে তারা কবে বেরিয়ে আসবে।’ তিনি বলেন, জিতলে ভালো, আর না জিতলে নির্বাচন ভালো নয়—এই সংস্কৃতি থেকে বিএনপিকে বেরিয়ে আসতে হবে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন কীভাবে হবে, তা ডিসাইডেড (নির্ধারিত)। নির্বাচনের বিষয়ে সংবিধানে যেমন উল্লেখ রয়েছে, তেমনি নির্বাচন কমিশনের কাজ কী হবে, সেটাও উল্লেখ রয়েছে। তিনি বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। সংসদীয় রীতি অনুযায়ী অন্যান্য দেশে যেভাবে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হয়, আমাদের দেশেও তাই হবে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জোটের আকার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না, জানতে চাইলে কাদের বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথাবার্তা হচ্ছে। তবে এখনো কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, সিপিবির নেতৃত্বাধীন ৮-দলীয় জোট আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধীন কোনো জোটে যোগ দেবে না বলে জানিয়েছে।
আগামী নির্বাচনে সিপিবি জোট অংশ নেবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, তারাও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। এই চেতনাকে ধারণ করেই তারা আগামী নির্বাচনে অংশ নেবে।’
কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও কথা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করেই সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টি মহাজোটে রয়েছে কি না, জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, তারা (জাতীয় পার্টি) মহাজোটে আছে এবং থাকবে।