অনলাইন ডেস্ক
প্রায় এক মাস কারাবাসের পর কারাগার থেকে ছাড়া পেয়েছেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক ও ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারন সম্পাদক সাইফুদ্দিন খালেদ।
দীর্ঘদিন থেকে আত্মগোপনে থাকার পর গত ৬ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জজ এ কে এম আবুল কালামের আদালতে ৬টি মামলায় আত্মসমর্পণ করে জামিন চেয়েছিলেন সাইফুদ্দিন খালেদ। আদালত ৪ টিতে জামিন দিলেও ২৯ এবং ৬৮ নং ২ টি মামলায় জামিন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠায়।

তারপর থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে ছিলেন তিনি । গত ২৯ নভেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও রাজিক-আল-জালিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ১৫ নাম্বার বেঞ্চ ৬৮ নং মামলায় জামিনের আদেশ দেন এবং ৩০ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর জেলা জজ এ কে এম আবুল কালামের আদালত অপর ২৯ নং মামলায় জামিন দেয়। সবগুলো মামলায় জামিন পাওয়ার পর তিনি রবিবার বিকেলে কারাগার থেকে ছাড়া পান বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।
তার পক্ষে লক্ষ্মীপুরে আইনজীবী ছিলেন এডভোকেট হাসিব ও এডভোকেট মোঃ ওহাব মিয়া এবং হাইকোর্টে ছিলেন এডভোকেট সালমা আক্তার।
কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর কারা ফটকেই সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাঈন উদ্দীন চৌধুরী রিয়াজ, জেলা যুবদলের সহ সভাপতি হুমায়ুন কমিশনার ও জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হারুনুর রশিদ হারুনের নেতৃত্বে বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মীরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এরপর গারিবহর নিয়ে তার নিজ এলাকা ভবানীগঞ্জে পৌঁছালে সেখানেও বিএনপির নেতাকর্মী ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষ তাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়।
আইনজীবীরা জানান , সাইফুদ্দিন খালেদের বিরুদ্ধে এই পর্যন্ত ৬ টি মামলা রয়েছে।

ভবানীগঞ্জ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি এস এম আজাদ অভিযোগ করে বলেন, এই অবৈধ সরকার রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও উদ্দেশ্যমূলক ভাবে তার বিরুদ্ধে একেরপর এক সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে যাচ্ছে এবং বারবার কারাগারে পাঠাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমরা আইনগত ভাবেই এসব মিথ্যা মামলা মোকাবেলা করবো।
উল্লেখ্য, সরকার বিরোধী আন্দোলনকে কেন্দ্র করে এপর্যন্ত তার নামে ১৪ টি মামলা হয়েছে। কিছু মামলায় বেকুসুর খালাশ পেয়েছে। বাকি সব মামলায় জামিনে আছে। তার মধ্যে দুইটি হত্যা মামলা এবং বাকিগুলোতে নাশকতা, পুলিশের উপর হামলা, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়েছে।
সাইফুদ্দিন খালেদ ভাইয়ের মুক্তি
আন্দোলনের নব শক্তি