amir_khasru

রাষ্ট্র ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে: খসরু

সংবিধান কোন ঐশি বাণী নয় যে এটা পরিবর্তন করা যাবে না। রাষ্ট্রের ও জনগণের প্রয়োজনে সংবিধান পরিবর্তন করতে হয় ও করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার তোপখানাস্থ বাংলাদেশ শিশুকল্যাণ মিলনায়তনে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী ও সাপ্তাহিক জয়যাত্রার নির্বাহী সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম মিন্টুর নি:শর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সিভিল রাইটস্ সোসাইটি কর্তৃক আয়োজিত এক প্রতিবাদী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দিয়ে নিজেদের অবৈধ ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে সংবিধানকে প্রথম ক্ষয়ক্ষতি করেছিল আওয়ামী লীগই। তারাই সংবিধানের প্রদত্ত গণতান্ত্রিক অধিকারকে হত্যা করে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আজ আবারো সংবিধানের দোহাই দিয়ে গণতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নিজেদের একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে।

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বর্তমান সরকারের অপশাসনের ফলে রাষ্ট্রে প্রধান তিন স্তম্ভ সংদস, বিচারবিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ আজ ধ্বংস প্রায়। ফলে দেশ আজ যেখানে দাড়িয়ে আছে সেখান থেকে মুক্তি পাওয়া খুবই কঠিন।

তিনি বলেন, বর্তমানে যে অপশাসন চলছে তা ১/১১ এর অপশাসনেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। আওয়ামী দু:শাসনে আজ গণতন্ত্র ধ্বংস প্রায়। জনগণের ভোটাধিকারসহ প্রায় সকল অধিকারই কেড়ে নিয়েছে সরকার। এ অবস্থায় দেশ চলতে পারে না। জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় গণতান্ত্রিকভাবে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। জনগণের মুক্তির লক্ষে প্রয়োজনে নতুন সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। সংবিধানে পারষ্পরিক সংঘাতপূর্ণ বিষয়গুলোকেও সংশোধন করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, সরকারের মনে রাখা উচিত শুধু উন্নয়ন দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না। শুধু উন্নয়নই যদি ক্ষমতায় থাকার মূল বিষয় হতো তাহলে আইয়ূব খানের পতন হতো না। জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে, কন্ঠকে স্তব্ধ করে দিয়ে কোন স্বৈরশাসক ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, উন্নয়ন মেলার পর সরকারের পতনের সময়ও চলে এসেছে। দ্রুততম সময়েই সরকারের পতনের মধ্য দিয়ে জনগনের ভোটাধিকার ফিরে আসবে।

সংগঠনে চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে প্রতিবাদী সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এডভোকেট নজমুল হক নান্নু, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কবি আবদুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভুইয়া, ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গির আলম প্রধান, এনডিপি ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা,

জাতীয়তাবাদী তাতীদলের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, সংগঠনের মুহম্মদ কামালউদ্দিন আহমেদ, শাহজাহান সাজু, সরদার মতিউর রহমান, মীর হোসেন মিলন, বাহার চৌধুরী, মিজান মাসুম, নিজামউদ্দিন দরবেশ, এইচ এম আল-আমিন প্রমুখ।

Check Also

জাতীয় সরকার নিয়ে হঠাৎ আলোচনা কেন?

প্রথমে জাতীয় সরকারের প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিলেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

Share
Pin